নিক্সনের কারণে ২৮ শিক্ষকের বেতন বন্ধ, মানবেতর জীবনযাপন

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
নিক্সনের কারণে ২৮ শিক্ষকের বেতন বন্ধ, মানবেতর জীবনযাপন

ফরিদপুর: বিএনপি আমলে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং নিজ নির্দেশনা না মানার কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইকামাতে দ্বীন মডেল কামিল (এম.এ) মাদরাসার অধ্যক্ষসহ ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন স্থগিত করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাতিজা ও ফরিদপুর-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে।

২০২১ সালের ৮ অক্টোবর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বরাবর একটি ডিও লেটার পাঠিয়ে ওই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধের কার্যক্রম শুরু করেন নিক্সন।

পরে তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা স্থগিত করে দেয় সরকার।

সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সনের এই অবৈধ পদক্ষেপের কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে কয়েক বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী। কিন্তু যখনই তারা নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, তখনই তাদেরকে ‘জামাতি-জঙ্গী’ ট্যাগ দিয়ে হুমকি দিয়েছেন ত্রাসের রাজ্য কায়েম করা নিক্সন।

কিন্তু হাসিনা সরকারের পতন ও তার দেশত্যাগের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর মুখ খুলেছেন নির্যাতিত ওই শিক্ষকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর পুনরায় বেতন-ভাতা চালুর আবেদন জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর দরখাস্ত দিয়েছেন তারা। এতে নিক্সনের পদক্ষেপকে মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মৃধা ‘অবৈধ’ দাবি করে তা বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন।  

এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মৃধা বলেছেন, নিক্সন চৌধুরীর অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের নির্দেশ অমান্য করায় তিনি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বেতন-ভাতা বন্ধের সুপারিশ করেন এবং সরকার তা আমলে নিয়ে আমাদের বেতন-ভাতা স্থগিত করে দেয়।  

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন জানান, মাদরাসাটি শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের আইন ও বিধি মেনে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানকার ২৮ জন শিক্ষকের বেতন স্থগিত রয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রাণালয়ে তদন্তাধীন রয়েছে, তদন্ত হলে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।

মাদরাসার সভাপতি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত নিক্সন চৌধুরী ডিও লেটার দিয়ে তাদের বেতন স্থগিত করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি একাধিকবার জেলার শ্রেষ্ঠ মাদরাসা নির্বাচিত হয়েছে এবং আবু ইউসুফ মৃধাও কয়েকবার জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।

আইএ

Link copied!