ঢাকা: ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজে দুদিন এবং কবি নজরুল কলেজে একদিন শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিআরএমসি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, সোম ও মঙ্গলবার কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকালের অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষাও স্থগিত থাকবে।
অধ্যাপক কাকলী অভিযোগ করে বলেন, আমার আক্ষেপ করে বলতে হচ্ছে গতকাল (রোববার) থেকে আজ পর্যন্ত আমার ক্যাম্পাসে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। আমি এখন যাত্রাবাড়ী এসেছি। এখানে আমার শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যু থাকায় আমাকে ভেতরে যেতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে রোববার অধ্যক্ষের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত ২৫ ও ২৬ নভেম্বর কলেজের সব শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে, কবি নজরুল সরকারি কলেজও অনিবার্য কারণবশত মঙ্গলবারের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে ওয়েবসাইটে নোটিশ দিয়েছে।
সোমবার কলেজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল (২৬ নভেম্বর) কবি নজরুল সরকারি কলেজের শ্রেণি পাঠদান বন্ধ থাকবে।
মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের ‘ভুল চিকিৎসায়’ মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রোববার পুরান ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষুদ্ধরা সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজেও হামলা-ভাঙচুর চালায়। এতে ঢাকার ৩৫টিরও বেশি কলেজের শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে গত ১৬ নভেম্বর ন্যাশনার মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন নগেন হালদার ও মনিমালা হালদার দম্পতির সন্তান অভিজিৎ হালদার। দুদিন পর হাসপাতালে মারা যান তিনি। এরপর চিকিৎসায় অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ২০ ও ২১ নভেম্বর হাসপাতাল অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, গতকালের হামলার জেরে আজ সোমবার ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা করে সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী যাত্রাবাড়ী এলাকায় মোল্লা কলেজে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর থেকে মোল্লা কলেজে ভাঙচুর শুরু হয়। এক পর্যায়ে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতার সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :