ঢাকা: চলমান করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আবারও বাড়িয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইমেন্ট কার্যক্রম মনিটরিং করতে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ফি নেয়া হচ্ছে কি না, বাড়ির কাজ বা পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে কি না এবং সার্বিক নির্দেশনা মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে কি না- সে প্রতিবেদন অধিদফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা অধিদফতর থেকে সব আঞ্চলিক পরিচালক, উপ-পরিচালক এবং সব জেলা-উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এসব নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। কিন্তু পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হবে সবাইকে। কোনো মার্কিং বা গ্রেডিং দেয়া হবে না। সবাই সমান পাস। এ প্রেক্ষিতে ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এ সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে। ৬ সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের এসব অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যাসাইনমেন্ট পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মাঠ পর্যায় থেকে বিস্তর অভিযোগ উঠে এসেছে এসব বিষয়ে।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দেয়া অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম মনিটরিং করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে মাউশি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠানো নির্দেশনায় কর্মকর্তাদের নিজ নিজ আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে অধিদফতরে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রতি তিন সপ্তাহ পর পর এ প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রথম দফায় তিন সপ্তাহের এবং ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় তিন সপ্তাহের প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে কী কী বিষয় মনিটরিং করতে হবে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না, অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে তিনটি অ্যাসাইমেন্ট দেয়া হচ্ছে কি না, শিক্ষার্থীরা সাদা কাগজে অ্যাসাইনমেন্ট নিজ হাতে করে তা জমা দিচ্ছে কি না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অ্যাসাইনমেন্ট জমা ও গ্রহণ করা হচ্ছে কি না, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সবল বা দুর্বল দিকগুলো লিপিবদ্ধ রাখা হচ্ছে কি না তা প্রতিবেদনে জানাতে হবে।
এছাড়াও অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো ও তা আবার ফেরত এনে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কি না, এ কার্যক্রম ছাড়া শিক্ষার্থীদের কোনো পরীক্ষা বা বাড়ির কাজ নেয়া হচ্ছে কি না, ফি নিয়ে সরকারের নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা তাও জানাতে বলা হয়েছে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
সোনালীনিউজ/এইচএন
আপনার মতামত লিখুন :