ঢাকা: মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন যাবত ছুটি রয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনার বিস্তৃতি রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আবারো বাড়ানো হতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে শীতের প্রকোপ শুরু হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত শুরুর পর গড় হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৩০-এর ওপর। এখনো আমরা করোনায় অনিশ্চিত গন্তব্যে আছি। এই অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঝুঁকি নিতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানুয়ারি মাসে করোনার ভ্যাকসিন আসার পর পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় করোনায় আক্রান্ত। উনি সুস্থ হলে এই বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। কয়েক দফায় সেই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
এদিকে করোনার বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অত্যন্ত ঝুঁকিতে পড়েছে।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি ছেলে মেয়ে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া কোটির কিছু বেশি। বাকিরা অন্যান্য স্তরে পড়ছেন।
সোনালীনিউজ/এইচএন
আপনার মতামত লিখুন :