প্রাথমিক শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে যে উদ্যোগ নিল সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২১, ১১:১১ এএম
প্রাথমিক শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে যে উদ্যোগ নিল সরকার

ফাইল ফটো

ঢাকা: সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হয়রানি ও তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা আদায়সহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা কমাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষকদের হয়রানি কমে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ লক্ষ্যে এক জায়গায় তিন বছরের ঊর্ধ্বে যেসব কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকতে থাকতে একটা প্রভাব সৃষ্টি হয়। তারা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে বদলির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারাদেশে যেসব কর্মকর্তারা তিন বছরের বেশি একই জায়গায় রয়েছেন তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত বদলির ব্যবস্থা নেব।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন একই জায়গায় চাকরি করার কারণে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার এবং সহকারী শিক্ষা অফিসাররা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হয়রানি করেন। প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা, উপঢৌকন নেন। প্রধান শিক্ষকরা অফিসারদের হয়রানি থেকে বাঁচতে অফিসারদের নানাভাবে ম্যানেজ করেন। আবার শিক্ষা অফিসার ম্যানেজ হলেও সহকারী শিক্ষকদের অনেক সময় হয়রানি করেন প্রধান শিক্ষক। এসব কারণেও বদলির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে অফিস আদেশ জারি করে সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া হয়। এতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ আওতাধীন দফতরগুলোয় একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত কর্মচারীদের তথ্য আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে পাঠাতে হবে।

নির্ধারিত ছক অনুযায়ী কর্মচারীর নাম ও পদবী, কর্মরত অফিসের নাম ও যোগদানের তারিখ, কর্মরত জেলা ও উপজেলার নাম, অনুমোদিত পদসংখ্যা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের অফিসসহ আওতাধীন অফিসের কর্মরত কর্মচারীদের মোট সংখ্যা জানাতে হবে।

এছাড়া তিন বছরের ঊর্ধ্বে কর্মরতদের নিজ জেলা ও উপজেলা, বর্তমান পদে যোগদানের তারিখ, সরকারি চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ, সরকারি চাকরিতে প্রথম পদ, আগের দুটি কর্মস্থলের নাম ও কর্মকালীন মেয়াদের তথ্য জানাতে হবে।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি ‘শাক-সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপণ্য সবই উপহার নেন’। এই অভিযোগে ওই শিক্ষা অফিসারকে মৃদু শাস্তি দেয়া হয়। 

এদিকে গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা অফিসারদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Link copied!