ঢাকা: রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আইপিএইচ স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রোটারিয়ান আলহাজ্ব একেএম জসিম উদ্দিনের নামে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি মহল তার নামে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ শিক্ষকরা।
তাদের দাবি-স্থানীয় একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে গণমাধ্যমের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সভাপতি নিজেও সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জানা গেছে, স্কুলের সভাপতি প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে একটি মহল। একই সাথে তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অসদাচারণ, এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ ওঠে। কমিটিকে না জানিয়ে ২৫ লক্ষ টাকার এফডিআর ভেঙেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। এছাড়া কমিটির সাবেক এক নারী সদস্যকে সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দেয়ারও অভিযোগ ওঠে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সভাপতি একেএম জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। স্কুলে আমার করা উন্নয়নমূলক কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষরা এসব ষড়যন্ত্র করছে।
এদিকে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে আইপিএইচ স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির (২০১৬-১৮ ও ২০১৮-২০) সদস্যরা। প্রতিবাদ জানিয়েছে গভর্নিং বডি-এডহক (২০২০-২১) সদস্যরাও। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকও এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তার চরিত্র হনন করার জন্য একটি মহল এ মিথ্যাচার করছে।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রোটারিয়ান একেএম জসিম উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে নিজের তহবিল থেকে স্বর্ণ পদক দিয়ে থাকি। সব শ্রেণিতে যেন ভালো ফল হয় তার জন্য সব সময় শিক্ষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানা কাজ আমি করেছি। প্রতিষ্ঠানে বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা করা হয়েছে, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিসি টিভি লাগিয়েছি। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড মনিটরিং করা সহজ হয়েছে। এছাড়া মেয়েদের জন্য হাইজেনিক টয়লেট করেছি। দৃষ্টি নন্দন গেটও করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে স্বার্থান্বেষী একটি মহল আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
উল্লেখ্য, একেএম জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :