প্রাথমিকে চালু হচ্ছে ইংরেজি ভার্সন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১, ০৩:৪৩ পিএম
প্রাথমিকে চালু হচ্ছে ইংরেজি ভার্সন

ঢাকা : প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভার্সন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এজন্য স্কুলে দুজন আলাদা ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষককে ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষক হিসেবে তৈরি করা হবে। ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে দুই হাজার শিক্ষককে প্রথমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের মাধ্যমে সারা দেশে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের ৪ কোটি শিক্ষার্থীর ১২ বছর বাধ্যতামূলক ইংরেজি বিষয় পড়ার পরও দুর্বলতা দেখা যায়। যে কারণে তাদের এই শেখার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিলের এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে মাস্টার ট্রেইনারদের (ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষক) মাধ্যমে প্রাথমিকের শিক্ষকরা ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, সরকার শিক্ষকদের ভাষাগত দক্ষতা বাড়াতে অনেক আন্তরিক। তার অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইংরেজি ভাষার প্রতি ভীতি দূর করতে এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষককে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তবে প্রথমে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকের দুই হাজার শিক্ষককে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষিত করা হবে। তারা নিয়মিত সারাদেশের ইংরেজির শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলবেন। এ-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সেই কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করা হলো। এ বাবদ ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জিএম হাসিবুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষকের মধ্যে ইংরেজিতে যে দুর্বলতা রয়েছে তা দূর করতে এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এটি এসজিডি ৪ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে বাংলা বিষয়েও এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনসুর আলম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রাথমিকের শিক্ষকগণসহ অন্যরা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!