ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংশোধিত বিধিমালা সচিব কমিটিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে, নতুন বিধিমালা বাস্তাবায়নের আগেই নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকরা বলছেন, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমলারা বারবার তাদের পদোন্নতির আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। পদোন্নতির আশ্বাসের ‘গুড়েবালি’ দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের। শিক্ষা কর্মকর্তা হতে তাদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেজন্যেও ৪৫ বছর বয়স হওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীতা ও পদোন্নতি এক নয় বলে জানিয়ে প্রধান শিক্ষকরা নিয়োগ বিধিমালা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি-আলিমের ফরম পূরণ শুরু, বাড়তি ফি নিলে ব্যবস্থা
প্রধান শিক্ষকরা বলছেন, আগের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষকদের মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে সাবেক কর্মকর্তা বাহবা নিয়েছেন। তাই পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। পদোন্নতির দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচিতে কাজ না হলে আইনি লড়াইয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক মারা গেলে সন্তানদের দায়িত্ব নেবে ট্রাস্ট
নতুন নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘প্রধান শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষকদের বারবার পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। সাবেক গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন প্রধান শিক্ষকদের সাথে বারবার সভা করেছেন। সেখানে আমাদের ‘ক্যারিয়ার পাথ’ দেখিয়েছেন। কিন্তু সে ‘ক্যারিয়ার পাথ’ বাস্তবায়ন হয়নি।
আরও পড়ুন: পদোন্নতির তালিকায় মৃত শিক্ষকরাও
তিনি আরও বলেন, বারবার পদোন্নতির আশ্বাস দিলেও নিয়োগবিধিতে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়নি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হতে আমাদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা কখনোই পদোন্নতি নয়। আমরা পদোন্নতির দাবি জানিয়েছিলাম। আর বিভাগীয় প্রার্থী হতেও ৪৫ বছরের বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকরা ৪৫ বছরের বেশি বয়সী হলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হতে আবেদনই করতে পারবেন না। এ কেমন পদোন্নতি প্রশ্ন তুলেন এ শিক্ষক নেতা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালা সব ধাপে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। কেবিনেট থেকে আসলে ছোট-খাটো কিছু কাজ আছে, সেসব শেষ করে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পণ্ডিতবলেন, নিয়োগ বিধিটি অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু সেই এখনো মন্ত্রণালয়ে আসেনি। এ বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
সোনালীনিউজ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :