ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনে বুধবারও উত্তপ্ত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন সরকারের নির্দেশনা মেনে সিন্ডিকেট সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দেয় প্রশাসন।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে হঠাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
খায়ের বলেন, মন্ত্রী রাত ৮টার দিকে ঢাবি ক্যাম্পাসে যান। সেখানে উপাচার্যের বাসভবনে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর মধ্যেই শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বঘোষিত গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এক পর্যায়ে নীলক্ষেত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ধাওয়া দিলে আন্দোলনকারীরা পিছু হটে। হলগুলো প্রায় ফাঁকা। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে নিরাপদ আবাসস্থলে যাচ্ছেন।
সন্ধ্যার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। বৃহস্পতিবার তারা সারাদেশে এ কর্মসূচি পালন করবেন।
অন্যদিকে আদালতের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমার বিশ্বাস আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবে। আশা করি কাউকে হতাশ হতে হবে না। একইসঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :