ঢাকা : ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে বিকৃতির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে ফের রাজাকার স্লোগান ও বিক্ষোভ মিছিলে উত্তালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, যেই স্লোগানকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি গণঅভ্যূত্থানে রূপ নিয়েছিলো, সেই স্লোগানকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আন্দোলন কারও একার না। সারাদেশের ছাত্র জনতার অংশগ্রহণে এই আন্দোলন সফল হয়েছে। তাই কতিপয় লোক যদি ক্ষমতা পেয়ে এই স্লোগানকে বিকৃত করার চেষ্টা করে আমরা সেটাকে ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা হিসেবে ধরে নিবো। আর ছাত্র সমাজ এটা কখনোই মেনে নিবে না।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আজিজুর রহমান বলেন, যেই স্লোগান আমাদেরকে একটি নতুন দেশ দিয়েছে, সেই স্লোগান মুছে দেওয়ার অধিকার কারো নেই। যারা এই ধরনের ইতিহাস বিকৃতি করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তাদের বলে দিতে চাই, আপনারা সাবধান হয়ে যান।
তন্ময় নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ১৬ বছরের নিপীড়ন-নির্যাতনের যে শিকার হয়েছি সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণের হয়েছে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে। এই এই বিপ্লব কারো একক শক্তি নয়, এই বিপ্লবের ক্রেডিট করা সমন্বয়ক, মাস্টারমাইন্ড, ছাত্রদল, জামায়াত-শিবির, আরবান মিডিল ক্লাসের নয়! এ বিপ্লব যাত্রীবাড়ী-রামপুরা-উত্তরা-আশুলিয়া এবং পুরো বাংলাদেশের বিপ্লব। এই বিপ্লব এককভাবে কাউকে কুক্ষিগত করতে হতে দেবো না। খুনি হাসিনা এদেশে এককভাবে নিজের ইতিহাস এখানে করতে চেয়েছিল, তার কি করুণ পরিণতি হয়েছিল। তার থেকে শিক্ষা নিন, আমরা আমাদের ইতিহাস কখনোই বিকৃত হতে দেবো না।
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’; ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’; ‘বিকৃতি চলবে না, সাক্ষী আছে জনতা’; ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’; ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে রাত ১০ টা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলপাড়া থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা এই স্লোগান ও মিছিল শুরু করে। পরবর্তীতে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল হয়ে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ ঘুরে ১১টায় টিএসসিতে একটি সমাবেশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শেষ হয়।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :