ইবিতে শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বহিষ্কার দাবি

  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
ইবিতে শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বহিষ্কার দাবি

কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে তাঁর বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই পুত্তলিকা পোড়ায় তারা।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় হাফিজের ছবি সম্বলিত কুশপুত্তলিকা হাতে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রধান ফটকে গিয়ে ফটকের সাথে কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে তাতে জুতা ও থুথু নিক্ষেপ করা হয়। জুতা নিক্ষেপ শেষে দুপুর ২টার দিকে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে ‘বহিষ্কার বহিষ্কার, হাফিজ বহিষ্কার’, ‘হাফিজ হটাও, ডিএস বাঁচাও’, ‘হাফিজের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শ্রেণিকক্ষে সবার সামনে ছাত্রীদের ‘নষ্টা ও বাজারের মেয়ে’ সহ প্রকাশের অনুপযোগী বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ, কথা না শুনলে মার্ক কম দেওয়া, মেয়েদের ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারে কল দিযে বিরক্ত করা, ফেইক আইডি দিয়ে বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ কথোপকথন ও ছাত্রদের জোরপূর্বক সমকামীতায় বাধ্য করা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে হাফিজের বিরুদ্ধে। গত ৭ অক্টোবর এসব অভিযোগ তুলে ধরে তার অপসারণের দাবিতে প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করা হলে অভিযোগ তদন্তে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দিতে আজ মঙ্গলবার হাফিজুল ইসলামের ক্যাম্পাসে আসার কথা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই শিক্ষার্থীরা এসব কর্মসূচি পালন করে। 

বিভাগটির শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যের সাথে আমাদের একটি কনফারেন্স হয়। তিনি আমাদের বক্তব্য শোনার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। গতকাল তদন্ত কমিটির কাছে আমরা আমাদের অভিযোগগুলো জমা দিয়েছি। তদন্তের জন্য হাফিজের আজকে ক্যাম্পাসে আসার কথা, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকের কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা তাকে বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। তাকে যদি আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা না হয়, আমাদের আন্দোলন-কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলবে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা খবর পেয়েছি তিনি ক্যাম্পাসে এখনো পর্যন্ত আসেনি। তদন্ত কাজে তাকে ক্যাম্পাসে আসতে আমরা বাঁধা দিচ্ছি না। এটা আমরা আমাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার প্রত্যেকটি অপকর্মের প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তদন্তের মাধ্যমে তার এসব অভিযোগ অবশ্যই প্রমাণিত হবে। আমরা আশা করি তদন্ত কমিটি আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।

এ বিষয়ে জানার জন্য ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে একাধিকবার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

এসএস

Link copied!