বিরল অসুখে ভুগছেন আলিয়া ভাট!

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
বিরল অসুখে ভুগছেন আলিয়া ভাট!

ঢাকা : বলিউডের অনন্য অভিনেত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ শক্ত জায়গা তৈরি করেছেন আলিয়া ভাট।বর্তমানে তিনি ‘জিগরা’ ছবির কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত রয়েছেন। হাতে একের পর এক কাজ এখন আলিয়া ভাটের। তারই মাঝে মেয়েকেও দিতে হচ্ছে অনেকটা সময়।এরই মধ্যে এক দুঃসংবাদ দিলেন তিনি।

এক বিরল অসুখে ভুগছেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। শুনে চমকে গেলেও সত্যি ভালো নেই তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন অভিনেত্রী, জানালেন তার সমস্যার কথা।

জানালেন, আলিয়া এই অসুখে আক্রান্ত সেই ছোট থেকেই। অসুখটির নাম ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার’। এই অসুখের উপসর্গ কেমন, এবং কীভাবে তাকে ভুগতে হয়, সে বিষয়েও খোলাসা করেন আলিয়া।তিনি বললেন, ‘এমন কিছু কাজ আছে যা আপনার মনে হবে আপনি সেটা দ্রুত শেষ করতে পারবেন। আমার এডিডি আছে। তাই কোনো কাজে খুব বেশি সময় দিয়ে উঠতে পারি না। ফলে এমন কাজ করতে হয়, যা দ্রুত করা যায়।’

বিয়ের দিনের কথা মনে করিয়ে অনুরাগীদের সঙ্গে একটি ঘটনা ভাগ করেন আলিয়া। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিয়ের দিন, আমার মেকআপ আর্টিস্ট পুনিত বলেছিলেন, আলিয়া, এ বার তোমার আমাকে দু’ঘণ্টা সময় দিতেই হবে। আমি ওকে বলি, তুমি তা হলে কাজটাই হারাবে। আমি তোমায় কখনও দু’ঘণ্টা দেব না। আমি আমার বিয়েটা ভাল করে উপভোগ করতে চাই।’’ সাক্ষাৎকারে আলিয়া তার মেকআপ আর্টিস্ট আরও বলেন, ‘‘৪৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে আমি মেকআপের চেয়ারে বসতে পারব না। খুব তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে পারবে এমন মেকআপ করে দাও। আমার ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজ়অর্ডার’ আছে, তাই কোনও কাজেই খুব বেশি সময় খরচ করার আগ্রহ আমার থাকে না। যা করতে হবে, তাড়াতাড়ি করতে হবে।’’

আলিয়ার এই স্বীকারোক্তির পর থেকেই তাঁর অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করে, ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজ়অর্ডার’ রোগটি ঠিক কী? ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজ়অর্ডার’ মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ব্যাধি। শৈশবকাল থেকেই শিশুদের আচরণের মধ্যে বিশেষ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। তাদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং মনোযোগের অভাব হয়, অতিসক্রিয়তা লক্ষ করা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশুরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হয়। বয়স বাড়লেও এই লক্ষণগুলি থেকে যায়।

‘সেন্টারস ফর ডিজিজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বের প্রায় ৭.২ শতাংশ শিশুর মধ্যে এই রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে। মেয়েদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি হলেও ছেলেরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়।

ইউআর
 

Link copied!