ঢাকা : আনিকা কবির শখ, সারিকা সাবরিন ও শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। বিজ্ঞান, নাটক ও টেলিফিল্ম সর্বত্রই ছিল তাদের আধিপত্য। তাদের ছাড়া টিভি নাটক খুব কমই নির্মাণ হয়েছে সেই সময়। ছোটপর্দা দাপিয়ে বেড়ানো এই তিন তারকা ঝলক দেখিয়েছেন রুপালী পর্দাতেও।
কিন্তু অভিনয়ের সঙ্গে নানা কৃতকর্মের ফলে সময়ের ব্যবধানে প্রায় হারিয়ে গেছেন তারা। শোবিজে শখের বিচরণ ছিল অন্যরকম। অভিনয়ের সুবাদেই নিলয়ের সঙ্গে পরিচয় তারপর বিয়ে।
কিন্তু সংসার জীবন শুরু করতে না করতেই বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। তবে সবকিছু সামলে তিনি অভিনয়ে ফেরেন। পরে আবারো আড়ালে চলে যান। তবে সমপ্রতি অভিনয়ে ফিরেছেন এ অভিনেত্রী।
এরই মধ্যে জহির খানের পরিচালনায় ‘যে গল্প বলা হয়নি’ নামের একটি এক খণ্ডের নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
শখ বলেন, আমি এখন সংসারী একজন মানুষ। তাছাড়া সন্তানের মা হয়েছি। তাই সংসারটাকেই সবার আগে প্রাধান্য দিচ্ছি। এর আগেও অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার কথা জানালেও আগের জৌলুসে ফিরে আসেননি শখ। এই আছে এই আদলে চলেছেন এই অভিনেত্রী।
আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন। ২০০৬ সালে মিডিয়ায় পথচলা শুরু হয়েছিল। দাপটের সঙ্গে অভিনয় ও মডেলিং করে খুব সহজেই অর্জন করেন নাম-যশ-খ্যাতি।
তবে নিজের খামখেয়ালিপনা, হুটহাট শিডিউল ফাঁসানো, ইচ্ছামতো শুটিংয়ে যাওয়া, এমনকি প্রেম-ভালোবাসা ও ব্যবসায়ী মাহিম করিমকে বিয়ে, কন্যা সন্তানের জন্ম, এরপর ডিভোর্স-সংক্রান্ত জটিলতায় পড়ে মিডিয়া থেকে ছিটকে পড়েন।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই অভিনেত্রী। বিয়ের মাসেই কাজে ফিরেন সারিকা। তখন তিনি জানিয়েছিলেন স্বামীর বাড়ি থকে মিডিয়ার কাজে তার কোনো বাধা নেই। কিন্তু তারপর সেভাবে দেখা যায়নি সারিকাকে।
এক সময়ের আরেক আলোচিত মডেল, অভিনেত্রী ও নায়িকা শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। ‘বাংলালিংক দেশে’র বিজ্ঞাপন দিয়ে রাতারাতি আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
২০০৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলকে বিয়ে করেন। কিন্তু দাম্পত্য কলহের জের ধরে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এরপর ব্যক্তি জীবনে হতাশার কারণে শোবিজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি।
টিভি নাটকে তার চাহিদা থাকলেও অভিনয় ছেড়ে বর্তমানে সুদূর কানাডায় একমাত্র মেয়েকে নিয়ে জীবন কাটছে তার। তার সাবলীল অভিনয়-পারফরমেন্স কি আর দেখবেন না দর্শক?
তিন্নি উত্তরে সরাসরি ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ বললেও জানালেন, আসলে আমি এসব নিয়ে এখন ভাবছি না। আমি আমার মেয়ে আরিশাকে নিয়েই কেবল ভাবছি। কারণ আমার জীবন এখন আরিশানির্ভর।
আমি আরিশাকে নিয়ে বাকিটা জীবন ভালো থাকতে চাই। তবে দেশ, দেশের মানুষকে খুব মিস করি। মিডিয়াকেও মিস করি। অবশ্য আর ফেরা হবে কিনা বলতে পারি না।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :