ঢাকা : মরক্কো বংশোদ্ভূত বলিউড তারকা নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি কাতার বিশ্বকাপে থিম সং আর ফিফা ফ্যান ফেস্টিভাল মাতিয়েছেন।
এই তারকা এবার ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাথে নাচের ছন্দে পা মেলানোর ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই ইচ্ছের কথা জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে সেই সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরেছে।
কাতার বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচে নোরা না থাকলেও দোহার আল বিদ্যা পার্কে সদ্য অনুষ্ঠিত ফিফা ফ্যান ফেস্টিভ্যালে নোরার নাচে তুমুল ঝড় ওঠে।
কাতার থেকে মুম্বাইয়ে ফিরে এক সংবাদ মাধ্যমে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল তৃতীয় সাউন্ডট্র্যাক ‘লাইট ইন দ্য স্কাই’ করার অভিজ্ঞতা এবং ফিফা ফ্যান ফেস্টিভালের পারফরমেন্সের মাধ্যমে বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনার কথা তুলে ধরেন এখন কানাডার নাগরিক নোরা।
নোরাকে প্রশ্ন করা হয় ‘যদি সুযোগ পান তাহলে কোন ফুটবলারের সাথে নাচতে চান?’
এর উত্তরে নোরা বলেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথাই বলতে হয়, তার সাথে একবার নাচতে পারলে মজা হতো। যখন তার খেলা দেখেছিলাম, তার পায়ের কাজ আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। যে দক্ষতায় তিনি খেলেছিলেন, মনে হয়েছিল তিনি একজন দুর্দান্ত নৃত্যশিল্পীও হতে পারেন। এমনকি এও মনে হয়েছিল তিনি ‘অ্যাফ্রো’ নাচের কিছু মুদ্রাও তুলতে পারেন, কারণ এ ধরনের নাচে পায়ের কাজ জানতে হয়। যেটা রোনালদোর আছে। আর আমার মনে হয় শাকিরার নাচটিও মনে রাখার মতো।’
স্টেডিয়ামে বসে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্বকাপে ম্যাচ ও আবেগ ও উত্তজেনার মিশেল। ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আমাকে ভিআইপি লাউঞ্জে বসে ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি পর্তুগাল ও উরুগুয়ের খেলা দেখেছি। রোনালদোর অ্যাকশন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তারকা খোলোয়াড়দের আমরা কেবল টিভিতেই দেখি। এছাড়া এত বড় স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি কোনো ম্যাচও আগে দেখিনি। সেই অভিজ্ঞতা এবার হয়েছে আমার।
খেলার হাফ টাইমে আমার কণ্ঠ দেওয়া থিম সং ‘লাইট দ্য স্কাই’ বাজানো হলো, শুনে পাগল হয়ে গেলাম। এই গানটিতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে, আমি এগিয়েছি অনেকটাই এবং কিছু একটা নির্মাণ ইতিহাসের অংশ হতে পেরেছি। ফুটবল বিশ্বকাপের মতো আসরে ভারতকে তুলে ধরা আমার লক্ষ্য ছিল। সেটা করা গেছে।
এছাড়া আমার আরো মনে হয়, ফুটবলকে ঘিরে বিশ্বের বহু মানুষ একত্রিত হয়। সবার আনন্দ উদযাপন বিষয়গুলো খুবই ইতিবাচক। যে যার পছন্দের দেশের পতাকা হাতে নেয়, একে অপরের ভাষা, সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করে, খাবার চেখে দেখে। ভিন্ন ভাষার সংগীতে গলা মেলায়, নাচে, একে অন্যের আনন্দকে সমর্থন করে, সে এক মহাসম্মিলন বলতে পারে। আর এই মহাযজ্ঞের অংশ হতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :