ঢাকা : ওম ভাটিয়াকে চেনেন কেউ? কিংবা অশ্বিনী শেঠিকে? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাল্টা প্রশ্ন আসবে- এরা কে? তবে যদি এদের ছবি দেখানো হয়, তখন মুহূর্তেই চেনা হয়ে ধরা দেবেন তারা। সিনেমা নেমে তারা যে নাম নিয়েছেন, তাতে হারিয়ে গেছে তাদের পারিবারিক নাম। রুপালি জগতে নাম বদলের এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে আসছে। বলিউডের এমনই কয়েকজনকে নিয়ে এই প্রতিবেদন।
সালমান খানের পারিবারিক নাম হল ‘আব্দুর রশিদ সেলিম সালমান খান’
সালমান খান : যদি ‘ভাইজান’ বলেও ডাকা হয়, তাও সবাই ঠিকই বুঝে যাবেন বলা হচ্ছে সালমান খানের কথা। আবার অনেকে ‘সাল্লু’ বলেও ডাকেন। কিন্তু এই ভাইজান বা সালমানের পারিবারিক নাম হল ‘আব্দুর রশিদ সেলিম সালমান খান’। খ্যাতিমান চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের এই ছেলে বড় পর্দায় পা দেওয়ার আগে নামের সামনের অংশ ছেঁটে ‘সালমান খান’ অংশটি শুধু রাখেন।
শিল্পা শেঠি : অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ‘ধ্যান’ করে বেশ নাম করেন বছর ছয়েক আগে। নিয়মকানুন মেনে চলেন ব্যক্তিগত জীবনেও। কিন্তু নাম বদলে ফেলেছেন তিনিও। আসলে কিন্তু শিল্পা শেঠি নন, তিনি অশ্বিনী শেঠি। তবে অশ্বিনীর চেয়ে শিল্পা নামটাই তার কাছে বেশি প্রিয়। কারণ তার মায়ের মতে নামটি অভিনেত্রীর সৌভাগ্য বয়ে আনবে।
অক্ষয় কুমার : পারিবারিক নামের সঙ্গে একেবারেই মিল নেই অক্ষয় কুমারের। নব্বই দশকের অ্যাকশন হিরোর পারিবারিক নাম রাজীব হরি ওম ভাটিয়া। মাহামারির ধাক্কার পর বলিউডে টিকে থাকতে সম্প্রতি পারিশ্রমিক কমিয়েছেন তিনি।
টাবু : তাবাসসুম ফাতিমা হাশমি বলিউডে টাবু নামেই স্বীকৃত। নায়িকা হিসেবে তার প্রথম সিনেমা সতীশ কৌশিক পরিচালিত ‘প্রেম’। ক্যারিয়ারে সফল এই অভিনেত্রী ‘চাঁদনি বার’ থেকে ‘হায়দর’ সব সিনেমাতেই নিজেকে মেলে ধরেছেন। অফট্র্যাক সিনেমার পাশাপাশি ‘হেরাফেরি’, ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’ দিয়ে টাবু প্রমাণ করেন বাণিজ্যিক ও কমেডিতেও তিনি সমান পারঙ্গম।
কিয়ারা আদবানি : মায়ের কোলে শুয়ে বেবি ক্রিমের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলেন তিনি। আট মাস থেকেই অভিনয়ে যাত্রা শুরু হলো, তখন ছিলেন আলিয়া। অভিনয় এখনও চলছে, তবে হারিয়ে গেছে আলিয়া, জাজ্বল্যমান কিয়ারা আদবানি নামে। বলিউডের এই নায়িকার নাম বদলে অভিনেতা সালমান খানের হাত আছে বলে শোনা গেছে। কারণ কিয়ারা আদবানি যখন বলিউডে যাত্রা শুরু করেন, তত দিনে নিজের জায়গা করে ফেলেছেন মহেশ ভাটকন্যা আলিয়া ভাট।
টাইগার শ্রফ : জ্যাকি শ্রফের ছেলে টাইগারের শ্রফের আসল নাম কিন্তু ‘টাইগার’ নয়। তার আসল নাম জয় হেমন্ত শ্রফ। জয় থেকে টাইগার হয়ে ওঠার পেছনে একটা গল্প আছে। হিন্দুস্তান টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে নাম পরিবর্তের কারণ খোলাসা করে বলেছিলেন, তিনি যখন খুব ছোট ছিলেন, বাসায় কেউ এলে তাকে কামড়ে দিতেন, নখ দিয়ে আঁচড়ে দিতেন। তাই তার মা–বাবা তাকে ‘টাইগার’ বলে ডাকা শুরু করেন। সেই থেকে হেমন্ত হয়ে উঠলেন টাইগার।
প্রভাস : বাহুবলী খ্যাত প্রভাসের আসল নামটি বেশ খটোমটো, ভেঙ্কট সত্যনারায়ণ প্রভাস রাজু উৎপলপতি। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতাদের একজন প্রভাস। এই অভিনেতার বিষয়ে আরেকটি অবাক করা তথ্য হল, একবার বসেই ১৫ রকম বিরিয়ানি দিয়ে পেটপূজা করতেন প্রভাস!
চাংকি পান্ডে : ছিলেন সুয়শ শরদ পান্ডে, অভিনয়ের প্রয়োজনে হয়ে গেলেন চাংকি পান্ডে। জানা গেছে সিনেমায় আসার আগে পিতামহের কাছ থেকে শরদ ‘চাংকি পাণ্ডে’ নামটি পেয়েছিলেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :