শুভ জন্মদিন ববিতা

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম
শুভ জন্মদিন ববিতা

ঢাকা : তিনি ঢালিউডের ড্রিম গার্ল। অভিনয় জগতে পা রেখে যিনি খুব অল্প সময়েই দর্শক হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন তিনি সত্তর দশকের অন্যতম সেরা ও চিরসবুজ অভিনেত্রী ববিতা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা।

রোববার (৩০ জুলাই) জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা জন্মদিন। জীবনের ৬৯ বসন্ত পেরিয়ে পা রাখলেন ৭০-এ। জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত করছেন তার সহকর্মী ও ভক্ত অনুরাগীরা।

চিত্রনায়ক শাকিব খান ববিতার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান এভাবে, ‘হাজারো কবিতা, একটাই ববিতা।’

এরপর তিনি তার সোশ্যালে লিখেন, ‘আপনি বাংলা চলচ্চিত্রের অহংকার ও গৌরব। আমাদের সবার ভালোবাসায় আরও অনেক বছর বেঁচে থাকুন। শুভ জন্মদিন কিংবদন্তি ববিতা ম্যাডাম।’

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা লিখেন, ‘শুভ জন্মদিন, আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী, সবার প্রিয় অভিনেত্রী আন্তর্জাতিক খ্যাতি প্রাপ্ত চিত্রনায়িকা প্রিয় ববিতা আপা। বাংলা চলচ্চিত্রে আসার পরেই প্রথম যার সাথে সবচাইতে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে তিনি ববিতা আপা। কারণ আপনাদের অভিনয় দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার মনে সেই শৈশবে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মে ছিলো। অনেক ভালোবাসা সবসময় আপনার জন্য, আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।’

১৯৫৩ সালে বাগেরহাট জেলায় জন্ম নেন ববিতা। তার বাবা নিজামুদ্দীন আতাইয়ুব একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং মা জাহানারা বেগম ছিলেন একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। ববিতা ছিলেন তার সহকারী। মায়ের মতো তারও ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়ার, তবে ভাগ্য তাকে নিয়ে আসে রঙিন পর্দায়। শুটিং দেখার ভীষণ শখ ছিল ববিতার। তবে সিনেমায় অভিনয়ের ভাবনা কখনো ছিল না তার। তবে তার চলচ্চিত্রে আসার পেছনে বড় বোন সুচন্দার অনেক অনুপ্রেরণা রয়েছে। ১৯৬৮ সালে বড়বোন সুচন্দা অভিনীত ও জহির রায়হান নির্মিত ‘সংমিত’ সিনেমার মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন ববিতার। এতে রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি, যদিও মুক্তি পায়নি সিনেমাটি।

চলচ্চিত্র জগতে তার প্রাথমিক নাম ছিল ‘সুবর্ণা’। কিন্তু জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েই তার নাম হয়ে যায় ববিতা। পরে ১৯৬৯ সালে তিনি নায়িকা হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন চলচ্চিত্রে।

ববিতার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমার মধ্যে রয়েছে- অশনি সংকেত, সূর্যগ্রহণ, নয়নমনি, অনন্ত প্রেম, লাঠিয়াল, পদ্মা মেঘনা যমুনা, হাছন রাজা, চার সতীনের ঘর ইত্যাদি।

তিনি সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়বার বাচসাস পুরস্কার, চারবার আজীবন সম্মাননা, জহির রায়হান পদক, বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার, এরশাদ পদক, বাংলা চলচ্চিত্র প্রসার সমিতি পুরস্কার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি পুরস্কার অর্জন করেন বরেণ্য এই নায়িকা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!