ঢাকা : কিছুদিন প্রিয়তমার নায়িকা ইধিকা পালের অশ্লীল পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেন ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের খলনায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এই অভিনেতা ও প্রযোজকের ভাষ্য ছিলো, ‘বিগত সময়ের কাজগুলোতে ইধিকা যে পোশাক পরেছে, ওই ড্রেস মানুষ পরে না। এখানে এসে বোরকা পরলে কি সাজবে? সাজবে না। আমার মনে হয়, সে যে ধরনের ড্রেস পরে ইন্ডিয়াতে শট দিয়েছে, সে ওখানে থাকলেই ভালো করবে। বাংলাদেশে এসে বোরকা না পরা বেটার।’
ডিপজলের এমন মন্তব্যের কড়া জবাবও দিয়েছিলেন ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার অভিনেত্রী ইধিকা। ডিপজলের মন্তব্যের বিরোধিতা করে ইধিকা বলেন, ‘উনি (ডিপজল) বড় মাপের মানুষ। আর আমি মাত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তাঁকে আলাদা করে কিছু বলার নেই আমার। তবে একটা প্রশ্ন আছে তাঁর কাছে। উনি বলেছেন, আমি অশ্লীল পোশাক পরি। প্রশ্নটা হলো, অশ্লীল কোনটা? আমি এখন পর্যন্ত যে কটি কাজ করেছি, সেখানে কোনো অশ্লীলতা আছে বলে মনে হয় না। জানি না, কেন উনার এমনটা মনে হলো। আরেকটা কথা বলতে চাই, অশ্লীল শুধু মানুষের পোশাকই হয় না, মানুষের মনটাও হয়। পাবলিক প্ল্যাটফর্মে একটা মেয়ের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করাটা অশ্লীল আচরণ।’
তবে ডিপজলের সেই মন্তব্যের সঙ্গে মিলে গেল ইধিকার পোশাক। পরনে লাল রঙের গর্জাস লেহেঙ্গা, লাল খোলামেলা ব্লাউজ। চোখে কাজল, মাথার ভিজে চুল খোলাই রেখেছেন। এভাবেই খোলামেলা শরীরে নদীর পাড়ে বসে ফটোশ্যুট করেছেন অভিনেত্রী ইধিকা পাল। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ইধিকার বক্ষবিভাজিকা। আর তাতেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ইধিকার ভক্তদের মধ্যে। বাংলাদেশেও তার বহু অনুরাগীর গলায় ঝরে পড়েছে অভিমানের সুর।
আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইধিকার এই ফটোশুটের ছবির নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কেউ লিখেছেন, ‘আপনাকে এই পোশাকে আমরা দেখতে চাইনি। আপনাকে প্রিয়তমা হিসাবে দেখতে চেয়েছিলাম।’ কেউ লিখেছেন, ‘এগুলো তোমার থেকে আশা করিনি।’ এখানেই শেষ নয়, কেউ কেউ ইধিকাকে গালিগালাজ করতেও ছাড়েননি। কারোর মন্তব্য, ‘ফেম (খ্যাতি) এসে গিয়েছে, এবার এগুলো আসতে থাকবে। ’
কেউ আবার ইধিকার বাড়ির লোকজনকে টেনে এনে লিখেছেন, ‘ছিঃ এগুলো আপনার বাড়ির লোক দেখেন না!’ কারোর কটাক্ষ, ‘একটা ছবি করেই খুলে ফেলেছে, আরেকটা ছবি করলে কিছুই রাখবে না।’ ইধিকার আরো এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তথাগত ঘোষের ফটোগ্রাফিতে এইরকম পোশাক সবাই পরে। কিন্তু কেন জানি না তোমাকে এভাবে দেখতে ভালো লাগছে না। সরি ইধিকা। নিজের আভিজাত্যকে ধরে রাখো।’
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :