ইন্টারভিউ দিয়ে কেন তোপের মুখে অনন্ত জলিল, খোলাসা করলেন প্রযোজক খসরু

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
ইন্টারভিউ দিয়ে কেন তোপের মুখে অনন্ত জলিল, খোলাসা করলেন প্রযোজক খসরু

ঢাকা: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন আগামী ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্যানেল প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এদিকে, মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রস্তুত হলেও নিপুণের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী কে হচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে সভাপতি পদে অনন্ত জলিলকে অনুরোধ করলে তিনি সরাসরি না করে দেয়ার কথা জানা গেছে। পরে সার্বজনীনভাবে অনন্তকে সভাপতি পদে রাজি করাতে নিপুণের সঙ্গে কাজ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজন। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনন্ত জলিলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তারা। 

এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেই এসব কথা স্বীকার করেন অনন্ত জলিল।

অনন্ত জলিল জানান, ‘আসন্ন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম, প্রযোজক ইকবাল, মোহাম্মদ হোসেন, নিপুণসহ হোটেল ওয়েস্টিনে বসেছিলাম।’ যদিও ভিডিওটি প্রকাশ করা পর বেশ তোপের মুখে পড়েন অনন্ত জলিল। সেটি ক্লিয়ার করতে পূণরায় নিজের ভেরিফাইট পেছে একটি বার্তা জানিয়ে দেন।

সেখানে তিনি লিখেন, খসরু ও শামসুল আলম নিপুণের পক্ষে কাজ করছেন কিনা এ বিষয়ে উল্লেখ করে জলিল বলেন, এখনে উল্লেখ্য থাকে যে, খোরশেদ আলাম খসরু ভাই ও শামসুল আলম ভাই, তারা নির্বাচন কমিশন এর দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার সঙ্গে আর নির্বাচন নিয়ে যোগাযোগ করেননি। এই বিষয়টি সবার অবগতির জন্য জানানো হলো।

সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, গতকাল আমি আমার ব্যবসায়ী সংগঠন বিজিএমইএ এর একটা প্রোগ্রামে  শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায়, তাদেরকে নিপুণ ম্যাডামসহ আরো অনেকের নাম বলেছিলাম। ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই যখন সিদ্ধান্ত নিলেন ২০২৪ এর শিল্পী সমিতির নির্বাচন করবেন না।তারপর থেকেই আমি যাদের নাম বলেছি, তারা এক এক করে এবং সম্মিলিত ভাবেও আমাকে নিপুন ম্যাডামের প্যানেলে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে অনুরোধ করেন।

বিষয়টি ক্লিয়ার করতে বুধবার (৬ মার্চ) প্রযোজক সমিতিতে ছোট আকারে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক শামসুল আলম, প্রযোজক ইকবাল ও আসন্ন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রযোজক খসরু। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে, প্রযোজক খসরু বলেন, কমিশন হবার আগেই নিপুণের সভাপতি পদে অনন্ত জলিলকে অনুরোধ করেছি। সেটি অনন্ত জলিল সাহেব ক্লিয়ার করেছেন। আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচন যেন করতে না হয়। সেক্ষেত্রে দু-পক্ষকে একসাথে করে সার্বজনীনভাবে কাউকে যেন সভাপতি করা যায়। সেখানে আমার মনে হয়েছিল। একজন সফল ব্যবসায়ী সিনেমাবান্ধব অনন্ত জলিল সাহেবকে এখানে দাঁড় করানো যায়। সেই জন্য তার সাথে আমরা কথা বলেছি।

এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রযোজক খসরু বলেন, গতবার যেগুলো অনাকাঙ্খিত ঘটনায় নির্বাচন বানচাল হওয়ার চেষ্টা হয়েছিল সেগুলি মোকাবেলার জন্য আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। তবে যথাযথ সকল সমিতির লোকজনদেরকে আলাদাভাবে কার্ড দেয়া হবে। এর বাইরে কাউকে নির্বাচনের দিন এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে সাফসাফ বলে দেন তিনি। 

অন্যদিকে একটি বিশ্বস্তসূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক থাকাকালিন সময়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক শামসুল আলম ও নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রযোজক খসরুকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানান সূত্রটি। 

আরও জানা যায়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ ২৭ এপ্রিল। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এর আগে জানানো হয়, ১৭ এপ্রিল এফডিসিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ১০ দিন পিছিয়ে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

নির্বাচনের পর প্রাথমিক ফলাফলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা যাবে ২৯ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। আপিল বোর্ড কর্তৃক আপীল আবেদনের নিষ্পত্তি ৩০ এপ্রিল সকাল ১১ থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে করতে হবে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হবে ০১ মে বিকেল পাঁচটায়।

প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র ক্রয়, দাখিল ও আপিল ফি অফেরতযোগ্য। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য ১০০০টাকা। জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ হাজার, সহ-সভাপতি পদে ২০ হাজার, সম্পাদকীয় পদের জন্য ১৫ হাজার, কার্যনির্বাহী পদের জন্য সাত হাজার এবং সমপরিমান টাকা আপিল ফি প্রতিটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

এএন/আইএ

Link copied!