ঢাকা : আমি ২০১৬ সালে কবে গরুর তেহারি খেয়েছি, কোন ইন্টারভিউতে গিয়ে বলেছি আমি গরুর মাংস রান্না করতে পারি, কবে বিফ স্টেক খেয়েছি এইসব। আমি কোথাও লিখিনি আমি গরুর মাংস খাই না, বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না, একজন প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক।
আমি মাঝে মাঝেই ছবি তুলতে পছন্দ করি , যখন কোন দৃশ্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করে, সেটা মাঝে মাঝে ফেসবুকেও শেয়ার করি। আমার একটি ছবি যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পিকআপ ভ্যানে রোদে দাঁড়িয়ে একটি গরু, তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সেদিন ছিলো তীব্র দাবদাহ, গরমে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে অবলা প্রাণীটি ভীষণভাবে কাঁদছিল।
বোবা প্রাণের কান্না আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। ছবি তুলে আমার অনুভূতি প্রকাশ করি আমি ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছি ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে!’- ব্যাস এতটুকুই! তারপর কিছু মানুষ শুরু করলেন আমাকে হেয় করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, লিখতে শুরু করলেন- আমি চামড়ার ব্যবসায়ী! আমি নিজে একটা গাভী! আমাকে লাথি মারতে মারতে ইন্ডিয়া পাঠানো উচিত! আরও কত নোংরা নোংরা কথা!
আমি ২০১৬ সালে কবে গরুর তেহারি খেয়েছি, কোন ইন্টারভিউতে গিয়ে বলেছি আমি গরুর মাংস রান্না করতে পারি, কবে বিফ স্টেক খেয়েছি এইসব। আমি কোথাও লিখিনি আমি গরুর মাংস খাই না, বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না, একজন প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক।
আর আমি প্রকৃতি প্রেমী বা প্রাণীপ্রেমী কিনা সেটার প্রমাণ আমি কোথাও দিবো না। আমার ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর প্রমাণ হবে না আমি কে? অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবো, হয়তো কোন কবিতায় বা গল্পে বা অন্য কোথাও বা আমার পরবর্তী ক্যানভাসে। শিল্পীর বেদনা গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার দিকে ছুঁড়ে দেয়া সকল তীর আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :