নিপুণকে আইনের মাধ্যমে জবাব দিতে চান মিশা সওদাগর

  • আকাশ নিবির | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
নিপুণকে আইনের মাধ্যমে জবাব দিতে চান মিশা সওদাগর

ঢাকা: ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। এতে সোনালী নিউজ অনলাইন মিশা সওদাগরের সঙ্গে মুঠােফোনে যোগাযোগ করলে মিশা সওদাগর বলেন, রিটের বিষয়ে কিছুই জানিনা। যতোদূর জানি নিপুণ বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। রিট কে করেছে সেটিও জানিনা। তাছাড়া রিটের কাগজ হাতে পাইনি। হাতে পেলে আমরা তা আইনের মাধ্যমে রিটের জবাব দেয়ার কথা জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, সবাই জানেন নির্বাচনের দিন নিপুণ নিজে এসে সবাইকে সাধুবাদ জানিয়ে ফুলের মালা গলায় পড়িয়ে আমাদের দু'জনকে বরণ করে নিলেন। এরপর এরপর রিট করলে বিষয়টি চলচ্চিত্রের মানুষ ভালভাবে দেখবে না। গেলবারের সভাপতি ইলিকাঞ্চনকে আমি নিজে এসে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। এই সংগঠনটি শুধুমাত্র শিল্পীদের স্বার্থরক্ষায় নিয়োজিত। সেখানে মামলার বিষয়গুলি সত্যি দুঃখজনক।  

নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিটের বিষয় নিয়ে ডিপজলের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। 

 

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন।

রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন জনপ্রিয় অভিনেতা, বিগত দুই মেয়াদের সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। 

নির্বাচনে সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পান ২৬৫টি। অন্যদিকে নিপুণ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ আক্তার (২০৯)।

উৎসবমুখর পরিবেশে ৪৭৫ জন শিল্পী ভোট দেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৭০ জন। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তিনজন বাদে মিশা-ডিপজল প্যানেলের সবাই জয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের নিপুণ বলেছিলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারবো সেটা আমি চিন্তাও করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের সঙ্গে আমি যখন দাঁড়াব, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাব।’

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে মন্তব্য করে নিপুণ আরও বলেছিলেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ২০২৪-২৬ নির্বাচন যারা পরিচালনা করেছেন তাদের। আমার মনে হয় আমার টার্মে থেকে আমি খুব সুন্দর একটি নির্বাচন পরিচালনা করেছি।’

তবে এতদিন পর হঠাৎ কেন নতুন নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করেছেন নিপুণ?- এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মিডিয়া পাড়ায়।

বলে রাখা ভালো, ২০২২-২৪ মেয়াদে দুইবারের সফল সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের কাছে তৃতীয়বারের মতো পরাজিত হয়েছিলেন নিপুণ। তারপর বেশকিছু অভিযোগ এনে আপিল করেন তিনি। সেখানেও হেরে যান নিপুণ। এরপর বিষয়টি গড়ায় আদালতে। এভাবেই দুই বছর পার হয়ে নতুন নির্বাচনে ডিপজলের কাছে হেরে যান নিপুণ। শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হয়েছে এক মাস হতে চলেছে। নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন হেরে যাওয়া নিপুণ।

এএন

Link copied!