ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন চলাকালে সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সোহানা সাবা। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সোহানা সাবা সহ স্বৈরাচার আওয়ামী পন্থী শিল্পীদের একাংশ অরুণা বিশ্বাস, চিত্রনায়ক ফেরদৌসের নেতৃত্বে হোয়াটসঅ্যাপে 'আলো আসবেই' নামের একটি গ্রুপে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন। অসহযোগ আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সংশ্লিষ্ট কিছু স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে সোহানা সোবাসহ আরো অনেকের অবস্থান ছিলো ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে।
এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় পরোক্ষভাবে দেওয়া স্ট্যাটাসে সমালোচকদের উদ্দেশ্য বার্তা দিয়েছেন সাবা। যারই ধারাবাহিকতায় এবার জানালেন তার চোখে ‘ছ্যাঁচড়া’ কারা।
সম্প্রতি সোহানা সাবার ফেসবুক আইডি থেকে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি গ্রুপে যোগদানের জন্য অনুসারীদের ইনভাইটেশন পাঠানো হয়েছে। এরপরই এক স্ট্যাটাসে এই অভিনেত্রী জানান, তিনি এমন কিছুই করেননি। বরং তার আইডি হ্যাক করার চেষ্টা থেকে এসব করা হচ্ছে।
অপর একটি স্ট্যাটাসে কিছু মানুষকে উদ্দেশ্য করে সাবা লেখেন, কিছু অভাগা, যারা গত ১৮ বছর ধরে আমাকে ফলো করে আসছেন, ইনবক্সে নক করছেন আর ফ্রেন্ডলিস্টে একটু জায়গা পেতে আমাকে রিকোয়স্ট করে আসছেন— তারা আমার হ্যাকড আইডি থেকে পাওয়া গ্রুপ ইনভাইটেশন পেয়ে যারপর নাই পুলোকিত!
এরপর তাদেরকে ‘ছ্যাচড়া’ বলে মন্তব্য করে অভিনেত্রী লেখেন, তাদের ছ্যাচড়ামির বড় প্রমান দিতে তারা রিকোয়েস্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করে হেভি লাইক কমেন্ট কামানোর ব্যাপারে উৎসাহী। হ্যা ভাই, হ্যা আপনি অনেক বড় ‘লায়েক’!
সবশেষ অভিনেত্রীর সংযোজন- যদিও আমি নিশ্চিত, আমার ভাই অথবা এরকম অনেক সুদর্শন ও সুশিক্ষিত সুপুরুষ হলে এটুকুতে নিজের আত্বসম্মান খোয়াতে যেত না! সে যাই হোক।
এর আগে আরও একটি পোস্টে সবাইকে সতর্ক করে সোহানা সাবা লেখেন, আপনার কিছু বলার থাকলে অবশ্যই বলবেন, অবশ্যই লিখবেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে লিখবেন। আমার কমেন্ট বক্সে এসে লিখে নিজের লাইক-কমেন্ট- শেয়ার বাড়াতে চাইলে আপনাকে কট করে কেটে দেব।
প্রসঙ্গত, ছাত্র আন্দোলনে সোহানা সাবার ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা এই অভিনেত্রীকে নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই।
ইউআর
আপনার মতামত লিখুন :