ঢাকা : ঈদে মুক্তির জন্য চূড়ান্ত হয়েছে চার ছবি এরমধ্যে সর্বাধিক হলে মুক্তি পাচ্ছ শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘ক্যাপ্টেন খান’। এই সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে ১৮০টিরও বেশি হলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান।
তিনি বলেন, শাকিব খান আছে বলেই সিনেমাটি বেশি হলে মুক্তি পাচ্ছে। তার আলাদা একটি গ্রহনযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। তার সিনেমা মানে সুপারহিট। ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত এ সিনেমাটি সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করছেন শবনম বুবলী। সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন সম্রাট, মিশা সওদাগর, বড়দা মিঠু, ডন, শিবা শানু, অমিত হাসান প্রমুখ।
জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত সিনেমা ‘বেপরোয়া’। ঈদের দিন এ সিনেমাটি মাত্র একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। পরবর্তীতে বড় পরিসরে সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। এতে প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক রোশান ও চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা রাজা চন্দ। রোশান-ববি ছাড়াও এতে আরো অভিনয় করেছেন কাজী হায়াৎ, শহীদুল আলম সাচ্চু, তারিক আনাম খান, নানা শাহ, রেবেকা, কমল পাটকেরসহ অনেকে। বিগ বাজেটের এ সিনেমা শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য দেশেও মুক্তি দেওয়া হবে বলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।
নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান নির্মিত ‘জান্নাত’ সিনেমাটিও ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এছাড়াও অভিনয় করেছেন আলীরাজ, শিমুল খান ও মিশা সওদাগর। কাহিনি লিখেছেন সুদীপ্ত সাঈদ খান। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আসাদ জামান।
ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘মনে রেখো’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে ঈদুল আজহায়। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন মাহিয়া মাহি ও বনি। এ ছাড়াও এতে অভিনয় করছেন- মিশা সওদাগর, তুলিকা, বিশ্বজিৎ প্রমুখ। হার্টবিট প্রোডাকশন প্রযোজিত রোমান্টিক-অ্যাকশনধর্মী এ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন দেলোয়ার হোসেন দিল।
এদিকে সিনেমা পাড়াখ্যাত কাকরাইলে চলছে ঈদের শেষ প্রস্তুতি। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমার অফিসগুলোতে হল প্রতিনিধিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। অফিসগুলোতে আনা হচ্ছে সিনেমার পোস্টার। আবার দেশের বিভিন্ন সিনেমা হলে সেই পোস্টার পাঠানো হচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব মিলিয়ে সিনেমা পাড়ায় এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
চলচ্চিত্র প্রযোজকরা অধিক লাভের আশায় বেশিসংখ্যক হলে সিনেমা মুক্তি দিতে চান। কোন সিনেমা কয়টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হচ্ছে এ নিয়ে প্রতিবারই চলে প্রতিযোগিতা। বুকিং এজেন্টদের সঙ্গে আলোচনা, সমঝোতা ও পেশি শক্তি প্রদর্শন করে সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হয়। প্রতি ঈদে মুক্তির মিছিলে থাকে হাফ ডজন খানেক সিনেমা। ক্ষমতা আর গুণগতমানের দৌড়ে শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায় চার বা পাঁচটি সিনেমা। এবারো মুক্তি পাচ্ছে চারটি সিনেমা।
সোনালীনিউজ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :