বঙ্গোপসাগরে ‘বড় মুক্তা’র আভাস!

  • চট্টগ্রাম প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ১০:২২ এএম
বঙ্গোপসাগরে ‘বড় মুক্তা’র আভাস!

চট্টগ্রাম : বঙ্গোপসাগরে ‘বড় মুক্তার’ আভাস মিলেছে। রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গোপসাগরের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে বা মঙ্গলবার সকালে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। আর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার দুই দিনের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় তাহলে এর নাম হবে ‘দানা’। কাতারের দেওয়া দানা নামের অর্থ বিগ পার্ল বা বড় মুক্তা।

বর্ষার শেষ ও শীত শুরু হওয়ার আগের মৌসুমটি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার মোক্ষম সময়। কিন্তু মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে গত সপ্তাহে। এর কারণে সম্প্রতি একটি নিম্নচাপ বাংলাদেশ উপকূলের দিকে না এসে ভারতের চেন্নাই উপকূলের দিকে গিয়েছে। এখন আবারও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।

তিনি রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটার দিকে বঙ্গোপসাগরের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দিকে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। লঘুচাপটি আগামীকাল সোমবার রাত বা মঙ্গলবার সকালে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপের দুই দিনের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’

এদিকে আবহাওয়া দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে চলতি মাসে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এদের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে বলা হয়েছিল। ইতোমধ্যে একটি নিম্নচাপ উপকূল অতিক্রম করেছে। তাহলে আসন্ন নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় আসন্ন?

এই প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি থেকে ঘূর্ণিঝড় হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হয়ে বলার সময় আসেনি। তবে যদি তা ঘূর্ণিঝড় হিসেবে রূপ নেয় তাহলে এর নাম হবে দানা।’

এই নামটি কোন দেশের? এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘দানা নামটি কাতারের দেওয়া। এর অর্থ হচ্ছে বিগ পার্ল অর্থাৎ বড় মুক্তা।’

তবে বিভিন্ন মডেল ও উপাত্ত বিশেস্নষণ করে একাধিক আবহাওয়াবিদ জানান, যদি তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপও নেয় তা শক্তিশালী হবে না। আর এর গতিপথ ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে। তারপরও যদি বাম দিকে টার্ন নেয় তাহলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। যেহেতু নিম্নচাপ থেকে দ্রুত ঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে মনে হচ্ছে তাই শক্তিশালী হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবে না।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন,‘আগামীকাল (সোমবার) এর গতিবিধি অনেকটা বুঝা যাবে এর অবস্থা। আর নিম্নচাপ তৈরির পর কেন্দ্র পাওয়া যাবে। তখন এর গতিপথ চূড়ান্ত করা যাবে।’

উল্লেখ্য, অক্টোবর-নভেম্বর মাস ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম। ১৮৯১ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে ৯৪টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। এসবের মধ্যে ১৯টি ঝড় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করা ঝড়গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের ওপর দিয়ে গিয়েছে।

এমটিআই

Link copied!