ঢাকা : দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চিন্তায় ফেলেছে অনেককেই। অনেকেই মনে করছেন এমন তাপমাত্রা তারা দেখেননি।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় মঙ্গলবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৮৯ সালের পর এটাই ৩৫ বছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
গত বছর ১৭ এপ্রিলও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তার আগে ১৯৯৫ ও ২০০২ সালেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়, যা দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
এদিকে, গতকালও এই জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আজকের তাপমাত্রা বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এবার সেই তাপমাত্রাও অতিক্রম হলো। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, তাহলে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ডিগ্রিতে উঠেছিল।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।
আর ঢাকায় এ মৌসুমে গত ২০ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল তাপমাত্রা। আর গত বছরের ১৬ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তার আগে ১৯৬৫ সালে এপ্রিল মাসে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ১৯৬০ সালে ঢাকায় পারদ উঠেছিল রেকর্ড ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
এবার তাপপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর কারণ জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সবসময়ই এসব এলাকায় তাপমাত্রা বেশি আসে, বহু আগে থেকেই হয়ে আসছে। কারণ এই এলাকাগুলো ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গের পাশে। ওইসব এলাকায় ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠেছে গতকাল, সেটার আঁচ এসেই পড়ে এখানে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :