হানিমুনের জন্য দেশের সেরা কিছু গন্তব্য

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
হানিমুনের জন্য দেশের সেরা কিছু গন্তব্য

ঢাকা: সামনেই আসছে বিয়ের মৌসুম। বিয়ের আগে মানুষের মাথায় প্রথম চিন্তাটা আসে মধুচন্দ্রিমা কোথায় করবে। কারো হয়তো ভালো লাগে সমুদ্র, কারো বা পাহাড়, কারো শুধুই নির্জনতা। আজকাল হানিমুন ডেস্টিনেশন বলতে বিদেশ কেই বোঝেন সবাই। তবে মধ্যবিত্তরা চাইলে কম খরচে দেশেই হানিমুন পর্ব সেরে ফেলতে পারেন। দেশের মধ্যে হানিমুনের সেরা গন্তব্যগুলো নিয়ে এই আর্টিকেল।

কক্সবাজার: সমুদ্র পছন্দ করেনা এমন মানুষ পাওয়া বিরল। প্রিয়তমার সাথে প্রথমবার কক্সবাজার ভ্রমণ হতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ভ্রমণ। ফলে বাংলাদেশের মানুষের হানিমুন গন্তব্যের শীর্ষে আছে কক্সবাজার। কক্সবাজারে হানিমুনের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে, এখানে অসংখ্য হোটেল/রিসোর্ট আছে। তাদের হানিমুন প্যাকেজ নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে পারেন। অথবা নিজে চাইলেও চমৎকারভাবে আয়োজন করে নিতে পারেন নিজের মতো হানিমুন প্যাকেজ। কক্সবাজারের আরেকটা সুবিধা বিমান চলাচল করে, তাই চাইলে বিমানে যেয়ে সড়কপথের ক্লান্তি এড়িয়ে ভালমতো উপভোগ করতে পারবেন সময়।

সেন্টমার্টিন: এমন চোঁখ ধাধানো তীব্র নীল পানি আর নারকেল গাছের সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে আর কোথাও পাওয়া যায়না। হানিমুনের গন্তব্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয় অপূর্ব সুন্দর এ দ্বীপটি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে এ দ্বীপে আপনি চাইলে সারারাত সৈকতে কাটিয়ে দিতে পারেন, নিরাপত্তার কোন সমস্যা নেই। শীতকাল ছাড়া বছরের অন্য সময় সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকেনা। মোটামুটি অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মার্চ পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে দ্বীপটি। আর চাইলে চট্টগ্রাম বা কক্সবাজার পর্যন্ত বিমানে যেয়ে সেখান থেকে সরাসরি বিলাসবহুল জাহাজে চড়ে সরাসরি পৌছাতে পারবেন সেন্টমার্টিন। আর সমুদ্র সৈকতে দারুণ সব রিসোর্টগুলোর কোন একটি বেছে নিতে পারেন।

সাজেক: বর্তমানের সময়ের জনপ্রিয় হানিমুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে সাজেক। আপনি যদি পাহাড়, মেঘ, ঝর্ণা এসব পছন্দ করেন, তবে হানিমুনের গন্তব্য হিসেবে সাজেককেই বেছে নিতে পারেন। পাহাড়ের চূড়ায় মাত্র ২ কিলোমিটার এলাকা সাজেক ও কংলাক পাড়া। পাহাড়ের কোলঘেষে রয়েছে অসংখ্য রিসোর্ট। এর মধ্যে বারান্দা থেকে মেঘ-পাহাড়ের মিতালী দেখা যায় এরকম একটি রিসোর্ট বেছে নিবেন। ভাগ্য ভালো থাকলে সকালে উঠে রিসোর্টের বারান্দায় আসলে দেখা মিলবে মেঘ ঢেকে ফেলা উপত্যকা। গরমের সময়েও সাজেকে হাল্কা ঠান্ডা বাতাস বয়। আর মাঝে মাঝে পুরো সাজেকই চলে যায় মেঘের আড়ালে।

শ্রীমঙ্গল: ছোট ছোট টিলার গায়ে দিগন্ত বিস্তৃত চা বাগান আর তার মাঝে মাঝে বিশাল বিশাল সব গাছের দৃশ্যটি আমাদের অনেকের পরিচিত। চায়ের রাজধানী মৈালভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল, দেশের মধ্যে হানিমুনের জন্য চমৎকার একটি জায়গা। শ্রীমঙ্গলের রাধানগর এলাকায় গড়ে  উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য রিসোর্ট। রয়েছে বিলাসবহুল গ্র‌্যান্ড সুলতান এর মতো ফাইভস্টার রিসোর্টও। এছাড়া দু-সাই, নভেম, বালিশিরা,  শান্তিবাড়ি, হিমাচল সহ অনেকগুলো রিসোর্ট।

কুয়াকাটা: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যারা বসবাস করেন তাদের জন্য হানিমুনের চমৎকর জায়গা হতে পারে কুয়াকাটা। পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত কুয়াকাটা বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যাস্ত ও সূর্যদোয় দুটোই দেখা যায়। ঢাকা থেকেও এখন পদ্মা সেতু হয়ে খুব সহজে চলে যাওয়া যায় এ সৈকতে। বর্তমানে কুয়াকাটাতেও আছে দারুণ সব হোটেল ও রিসোর্ট। এসবের মধ্যে হোটেল কুয়াকাটা গ্র্যান্ড ও শিকদার রিসোর্ট অন্যতম।

মিঠামইন: হাওর অঞ্চলেও হতে পারে ব্যতিক্রমী মধুচন্দ্রিমার গন্তব্য। অনেক সময় দেখা যায় নব-দম্পতির উপরের সব জায়গায় ঘোরা হয়ে গেছে, তখন চাইলে মিঠামইনের মতো চমৎকার জায়গায় যেতে পারেন হানিমুনে।  অগাস্ট-সেপ্টেম্বর হাওরে থাকে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি। এ সময় হাওরের মাঝে গড়ে উঠা প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে চলে যেতে পারেন। প্রতিটি রুমের বারান্দা থেকে দেখতে পাবেন হাওরের অপূর্ব 

ইউআর

Link copied!