ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ইলেকট্রিক স্কুটার আনলো জনপ্রিয় বাইক কোম্পানি হোন্ডা। মজার বিষয় হলো- এই স্কুটার আবার ফোল্ড করে যেখানে খুশি নিয়ে যেতে পারবেন। আবার কাজের জায়গায় পৌছানোর পর স্কুটারটি ফোল্ড করে ডেস্কের নিচে রেখে দিতেও পারবেন। ফোল্ড করার পর এটি দেখতে এমকদম একটি হ্যান্ড ব্রিফকেসের মতো দেখায়।
স্কুটার নির্মাতা কোম্পানি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ইলেকট্রিক স্কুটারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হোন্ডা মোটোকম্প্যাক্ট’। মূলত শহরের ব্যস্ত জীবনের মানুষের জন্য ডিজাইন করা এই স্কুটারটি হালকা, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং স্টাইলিশ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ফোল্ডেবল স্কুটার। হোন্ডার ছোট স্কুটার মোটোকম্প্যাক্ট প্রযুক্তি ও স্টাইলের অসাধারণ একটি মিশ্রণ। এই ফোল্ডেবল ইলেকট্রিক স্কুটারটি একইসঙ্গে সহজেই বহনযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব।
জাপানি হোন্ডা কোম্পানি আরও জানিয়েছে, মোটোকম্প্যাক্টকে সম্পূর্ণ ফোল্ড করে ব্যাগের মতো আকারে নেওয়া যায়। এটি বাস, ট্রেন, বা অফিসে সহজে বহন করা সম্ভব। এর ভাঁজ করা অবস্থায় আকার মাত্র ২৯.২ ইঞ্চি x ২১.১ ইঞ্চি x ৩.৭ ইঞ্চি, যা যে কোনো ছোট জায়গায় রাখা যায়।
অনেকে ভাবছেন এত ছোট গাড়ি বলে হয়তো হালকা স্কুটার হবে, কিন্তু বাস্তবে সেটা নয়। গাড়িটি বেশ মজবুত। মেটাল বডি-সহ সর্বোচ্চ ১২০ কেজি ওজন নিতে পারবে। তবে স্কুটারটির ওজন মাত্র ১৮.৭ কেজি, যা একটি ল্যাপটপ ব্যাগ বহনের মতোই সহজ। শহুরে যাতায়াতের সময় এটি গাড়ির ট্রাঙ্কে রাখা বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিখুঁত সমাধান।
এই মোটোকম্প্যাক্টে একটি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, স্কুটারটিতে সম্পূর্ণ চার্জ করতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এক চার্জ দিলেই চলবে ২০ কিমি। চার্জিং কেবল স্কুটারটির ভেতরেই রাখা যায়, যা বাড়তি সুবিধা যোগ করে। সেই সঙ্গে স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ২৫ কিমি। মাত্র ৭ সেকেন্ডে গতি ০ কিমি থেকে ২৫ কিমি উঠতে পারে।
মোটোকম্প্যাক্টের মিনিমালিস্ট ডিজাইন একে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এতে রয়েছে সহজ অপারেটিং সিস্টেম, যা নতুন ব্যবহারকারীদের জন্যও সুবিধাজনক। মূলত যারা শহরের ছোট দূরত্বে চলাফেরা করেন। যারা ভ্রমণের সময় ফোল্ডেবল এবং পোর্টেবল যানবাহন চান তাদের জন্য। ইলেকট্রিক চালিত হওয়ায় এটি কোনো কার্বন নির্গমন করে না, যা পরিবেশবান্ধব পরিবহনের জন্য একটি আদর্শ। যারা পরিবেশবান্ধব যাতায়াতে আগ্রহী তাদের স্বপ্নের যান হতে পারে স্কুটারটি।
বিশেষ করে তরুণ এবং কর্মব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এটি বিশেষ উপযোগী। এটা চালাতে কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে না। গাড়িতে স্পিডোমিটার এবং ব্রেকও রয়েছে। হোন্ডার যে কোনো শো-রুম থেকে এই গাড়ি অর্ডার করা যায়। তবে বাংলাদেশে স্কুটারটি কবে আসবে এবং দাম কত হতে পারে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ভারতে গাড়িটির দাম ৫৫ হাজার রুপি।
ইউআর
আপনার মতামত লিখুন :