রমজানে যে আমলগুলো অবশ্যই করবেন

  • ফিচার ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
রমজানে যে আমলগুলো অবশ্যই করবেন

ঢাকা: মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ মাস হলো রমজান। এ মাসেই পবিত্র কোরআন শরীফ অবতীর্ণ হয়েছিল। মহান আল্লাহ রমজানে প্রতিটি আমলের জন্য বাড়তি সওয়াব দান করেন। তাই এই মাসে অধিক পরিমাণ আমলের মাধ্যমে বিপুল সওয়াব অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “রমজান- বরকতময় মাস তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। পুরো মাস রোজা পালন আল্লাহ তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো। দুষ্ট শয়তানদের এ মাসে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে আল্লাহ কর্তৃক একটি রাত প্রদত্ত হয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে (মহা কল্যাণ থেকে) বঞ্চিত হলো।” (সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস: ৬৮৩)

রমজানে যে আমলগুলো অবশ্যই করবেন-

*পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায়:
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ও নফল নামাজ পুরো বছরের নিয়মিত আমল হলেও রমজানে এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন মুসলমানেরা। অনেকে সারাবছর অনিয়মিত নামাজ আদায় করলেও রমজানে নিয়মিত হয়ে যান। রমজান মাসে জামাতে নামাজ পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন মহানবী (সা.)।

জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘‘জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি মর্যাদার।’’ (বুখারি, হাদিস: ৬৪৫, মুসলিম, হাদিস: ৬৪০)

*কোরআন তিলাওয়াত করা:
রমজান মাসে সিয়াম সাধনার চাইতে ফজিলতপূর্ণ কোনো আমল না থাকলেও কোরআন অবতরণের মাস হওয়ায়, কোরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়নের সওয়াব কোন অংশে কিন্তু কম নয়। রাসূল সা. নিজেও এই মাসে বেশি বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করতেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এই মাসে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা। অন্তত প্রতিদিন এক পৃষ্ঠা বা কিছু সময় হলেও কোরআন তিলাওয়াত করা বা শোনা।

ফাতেমা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘‘তার পিতা তাকে বলেছে, প্রতি রমজানে জিবরাইল (আ.)-কে একবার কোরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। কিন্তু মৃত্যুর বছর তিনি তাকে দু’বার কোরআন শোনান।’’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৮৫)

*তারাবি, সুন্নত-নফল নামাজ আদায় :
রমজানের বিশেষ ইবাদত হলো রাতের তারাবি নামাজ আদায় করা। এশার নামাজের পর এই নামাজ আদায় করতে হয়। তারাবির সঙ্গে অন্যান্য নফল, সুন্নত নামাজ ও ইবাদতগুলোও নিয়মিত আদায় করা উচিত।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’’ (বুখারি: ২০৪৭)

তিনি আরও বলেন, “যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় রোজা রাখেন, তারাবি নামাজ পড়েন এবং কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করেন, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়। (মিশকাত, হাদিস: ১৮৬২)

ইউআর

Link copied!