সরকারি কর্মচারির আর্তনাদ ‘এবার মনে হয় কামলা খাটতে হবে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২১, ০৮:৩৬ পিএম
সরকারি কর্মচারির আর্তনাদ ‘এবার মনে হয় কামলা খাটতে হবে’

ঢাকা: জাতীয় বেতন স্কেল বা পে-স্কেল জারি করা হয় সাধারণত ০৫ বছর অন্তর অন্তর। যেমন, ২০০৫ এর পর পে-স্কেল জারি করা হয়েছে ২০০৯-এ এবং সর্বশেষ পে-স্কেল জারি করা হয়েছে ২০১৫ তে।

আরো পড়ুন : শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড ও আইবাস++ নিয়ে সুখবর

জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ জারির পর জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আর কোন পে-স্কেল ঘোষণা করা হবে না। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ একটি স্থায়ী পে-স্কেল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে ঈদের পরে

এদিকে নিন্ম গ্রেডের সরকারি কর্মচারিদের অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন সংসার চালাতে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবহন, চিকিৎসা খরচ, শিক্ষার ব্যয়। বর্তমান বেতন-ভাতা দিয়ে কর্মকর্তারা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করলেও পিষ্ঠ হচ্ছে নিন্ম গ্রেডের কর্মচারীরা।

এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুঃখের বর্ণনা দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন শাহজাদা জাহিদ নামের এ সরকারি কর্মচারি।

তার পোস্টটি সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

দৈনিক মাছ আর তরকারি কিনতে ৫০০ খরচ হয় ৫ জনের সংসারে। কোথায় লেখা পড়ার খরচ,কোথায় চিকিৎসা, বস্ত্রের কথা নাই বা বললাম, কোথায় ঘর ভাড়??আর পরতেছিনা প্রতি মাসে ধার করতে করতে মানুষও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এবার মনে হয় চাকরির পরে কামলা খাটতে হবে। হায়রে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরি তুই জীবন কে অতিষ্ঠ করে দিলি।

ফেসবুক থেকে নেয়া

তার এই পোস্টে মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন-আল্লাহ্ রহমত করো। কারো মাধ্যমে আমাদের বেঁচে থাকার তাগিদে উপায় বের করো।

আরেকজন লিখেছেন-নেতারা কোথায়!আন্দোলন ছাড়া গতি নাই।

অন্য একজন লিখেছেন-অর্জুন বৃক্ষের ছাল খেয়ে বড় বাম দা নিয়ে নেমে পড়া ছাড়া আর কি উপায় আছে। আমাদের মধ্যে অনেকে ঘুষ খেয়ে ভালো আছে তারা কি আন্দলোনে আসবে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!