‘সোনার বাংলাদেশ ও ১১-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারীদের দুর্দশা’

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১, ১১:৪৭ এএম
‘সোনার বাংলাদেশ ও ১১-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারীদের দুর্দশা’

ঢাকা: আজ ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের মহান নেতা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। এই দিনে বঙ্গবন্ধু ও তাহার পরিবারের শাহাদাতবরনকারী সকলের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার রুপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। কিন্তু তার চাওয়া আজও পূরন হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে আজও সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরাজমান।

আরও পড়ুন: ‘আর কোনো পথ নাই, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই’

সরকারি চাকুরিজীবীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বৈষম্য বিরাজ করছে, অথচ কেউ এই বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ নিচ্ছে না। একজন ১ম গ্রেডের কর্মচারীর মূল বেতন ৭৮০০০ টাকা, অথচ একজন ২০তম গ্রেডের মূল বেতন শুরু ৮২৫০ টাকা। এছাড়াও উপরের গ্রেডের কর্মচারীদের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভাতা।

বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় ছয় জনের পরিবারের সকল খরচ যোগান দিয়েও ১-১০ গ্রেডের কর্মচারীদের সঞ্চয় থাকলেও ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীগন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

আরও পড়ুন: ‘বেতন আর বাড়বে না’ এমন সরকারি চাকরিজীবীদের করণীয়

ফেসবুক থেকে নেয়া।

উপরের গ্রেডের কর্মচারীগন উচ্চ শিক্ষিত, তাই তাদের বেতন বেশী হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন বর্তমান বাজার অনুযায়ী যৌক্তিক হওয়া উচিত ছিল। আকাশ-পাতাল মূল বেতনের ব্যবধান রেখে রাস্ট্রকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। ১১-২০ গ্রেড কর্মচারীগন তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরন করতে না পারলে দেশের সেবা করবে কিভাবে???

আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা হতাশ তবে হাল ছাড়েননি

বৈষম্যের ইতিহাস ঘাটলে বেতনের পরই আসে পদোন্নতি বৈষম্য। সকল দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থায় একজন ৯ম গ্রেডের সকল পদের কর্মচারী যোগদানের পর পদোন্নতি  পেয়ে থাকেন এবং পদোন্নতি পেয়ে উপরের গ্রেডে যেতে থাকেন। বেতনের ধাপ ৮ম, ৭ম, ৬ঠ, ৫ম, ৪র্থ, ৩য়, ২য় ও ১ম গ্রেডগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরন করা হয়।

অথচ ১১-২০ গ্রেড কর্মচারীদের বেশীরভাগ পদের নেই পদোন্নতি। কিছু কিছু পদের পদোন্নতি থাকলেও রয়েছে বিশাল বৈষম্য। কোন দপ্তরে ১৬তম গ্রেড থেকে একলাফে ১০ম গ্রেডে পদোন্নতি আছে, আবার কোন দপ্তরে ১৬তম গ্রেড থেকে সর্বোচ্চ ১৩তম গ্রেডে পদোন্নতি হয়। বাংলাদেশ সচিবালয় পদোন্নতি বিধিমালা ও বিভিন্ন অধিদপ্তর/সংস্থার পদোন্নতি বিধিমালা সম্পূর্ন ভিন্ন, অথচ একই পদে একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় নিয়োগ ও কাজের ক্ষেত্র একই। আবার একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় একই পদে বিভিন্ন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থায় বেতন গ্রেড ভিন্ন ভিন্ন এবং পদোন্নতি প্রক্রিয়া ভিন্ন।

আরও পড়ুন: বাজার ব্যবস্থায় প্রভাব ফে‌লে বেতন বৈষম্য

বাংলাদেশের সরকারি চাকুরিতে ১১-২০ গ্রেডের মোট পদগুলোর শতকরা ৭০-৮০% পদ ব্লক পোস্ট। অথচ যোগ্যতানুসারে পদোন্নতি পাওয়া সকল কর্মচারীর নৈতিক অধিকার। পদোন্নতিহীন একজন কর্মচারী সামাজিক ও মানসিক হীনমন্যতায় ভোগেন।

টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের কিছুটা আর্থিক সুবিধা দিতো, কিন্তু পে-স্কেল/২০১৫ তে সেই সুবিধাটুকুও বঞ্চিত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ, ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন ও পদোন্নতি বৈষম্য নিরসন করে মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি দিন। সকলের জন্য যোগ্যতানুসারে সমান সুযোগ নিশ্চিত করুন। সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে কারিগরদের (১১-২০ গ্রেড কর্মচারী) মৌলিক চাহিদা পূরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!