ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১১৩৮

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম
ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১১৩৮

ঢাকা: এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।  এসময়ে নতুন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৩৮ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৪ জন এবং শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৫৮ জনে।

অক্টোবর (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে একজন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন এবং বরিশাল বিভাগে তিনজন রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২৫২ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন। এর বাইরে (সিটি কর্পোরেশন বাদে) ঢাকা বিভাগে ১৯৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫৪ জন, খুলনা বিভাগে ১০৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১০৪ জন, রংপুরে ৩১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৬ জন ও সিলেট বিভাগে ৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ১১৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৯ হাজার ১০১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৬৪ জনের।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।

এসএস

Link copied!