ঢাকা: ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা উৎপাদন করার অনুমোদন পেয়েছে গ্লোব বায়োটেক। এ মাসেই প্রতিষ্ঠানটির ‘বঙ্গভ্যাক্স’ ক্লিনিক্যালি ট্রায়াল হতে পারে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমতি সাপেক্ষ যেকোন ওষুধ উৎপাদন করা হয়। গ্লোব বায়োটেককে এই টিকা উৎপাদনে অনুমতি দিয়েছে। টিকা উৎপাদনের পর গ্লোব বায়োটেক টিকার ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালাবে বলে আসিফ মাহমুদ জানান।
গেলো বছর ৩ জুলাই তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্লোব বায়োটেকের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির চেষ্টার ঘোষণা দেয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের নাম আছে। যে ১৫৬টি টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পূর্বাবস্থায় আছে, তার মধ্যে গ্লোবের তিনটি টিকা আছে। গত বছরের ১৮ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার প্রধান আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে তাদের ওই সম্ভাব্য টিকা ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে।
করোনার টিকা প্রাপ্তি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে বুধবার গ্লোব এ অনুমোদন পেল।
বিশ্বের এগিয়ে থাকা টিকাগুলোর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা কিনছে বাংলাদেশ সরকার। এই টিকা সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মা। এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বেক্সিমকো ফার্মা ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :