ঢাকা : মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৪৫ জন। এনিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৮ হাজার ৯৪৯ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ১৮১ জনের শরীরে। একদিনে এটিই দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত।এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন শনাক্ত হয়েছিলো। এনিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬ লাখ ৮৯৫ জনে।
সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে করোনার নতুন স্ট্রেইন দ্রুতই দুর্বল করে দিচ্ছে আক্রান্ত রোগীকে। এ অবস্থায় চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন দরকার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি ভয়ংকর হয়ে ওঠায় আরো বাড়াচ্ছে শঙ্কা। পহেলা মার্চ থেকেই ক্ষিপ্র গতিতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। মাত্র এক মাসে ২ শতাংশ থেকে সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে উঠেছে ১৭ শতাংশে। তবে টিকা নেয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সবাইকে ভাবাচ্ছে।
রোগীর স্বজনরা জানান, পজিটিভ আসার পর থেকেই উনার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। অক্সিজেন দিলে ভালো থাকে। আর না দিলে ৭০ অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এ নেমে আসে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনাক্তের হারও বেড়েছে। আর করোনার ভ্যারিয়েন্টে শনাক্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছে। একই সঙ্গে দ্রুতই রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
আইডিসিআর এর তথ্যমতে, দেশে যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন দুটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্তত ৪৮টি দেশে শনাক্ত হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি টিকার বিরুদ্ধে কম কার্যকারিতার প্রমাণও রাখছে। তবে সেই ধরনটি বাংলাদেশে কতটা ছড়িয়েছে বা কত মাত্রায় ক্ষতি করছে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে যাচাইয়ের তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, ভিন্ন একটা স্ট্রেইন আমাদের দেশে এসেছে। ভ্যাকসিন দেয়ার পরও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। নতুন ভ্যারিয়েন্টটা খুব দ্রুতই চড়াচ্ছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচলে শিথিলতা আরোপে সরকারের প্রতি আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :