আক্রান্তদের ৯০ শতাংশ শনাক্ত হয় না

বছরে ৩৮ হাজার যক্ষ্মায় মারা যায়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম
বছরে ৩৮ হাজার যক্ষ্মায় মারা যায়

ঢাকা: দেশে প্রতি বছর ৩৮ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায়। আক্রান্তদের ৯০ শতাংশ শনাক্তের বাইরে রয়ে যায়। রোগী ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সময়ে অপ্রত্যাশিত ভুল এড়াতে শুধু এক্স-রে দেখে টিবি হয়েছে বলে ওষুধ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, যক্ষা নিশ্চিত হতে সব পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই যক্ষার ওষুধ দিতে হবে। 

তাই যক্ষা রোগ শনাক্তে চিকিৎকদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা, কারণ অনেক রোগের উপসর্গ যক্ষার মতো। ‘পিএইচএ গ্লোবাল সামিটের ৯ দিনের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে  সোমবার ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ। 

সম্মেলনে শরীরের অঙ্গগুলো ছোট ছোট অংশে ভাগ করে এক্স-রে, আল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই, সিটি স্ক্যান দ্বারা কীভাবে পযর্বেক্ষণ করা যায়, সেগুলো রেডিওলজি কোর্সে উপস্থাপন করা হয়। রেডিওলোজির ব্যবহার  নিয়ে যেসব ভুল ব্যাখ্যা আছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখিয়ে দেন বিশেষজ্ঞরা। রেডিওলজির পেশাগত ঝুঁকি এড়াতে কর্মীদের করনীয় সম্পর্কেও নির্দেশনা দেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আল্টাস্নোগ্রাফি এক্সরে থেকে কম ঝুঁকির্পূণ। কার্ডিওভাসকুলার, পেট এবং ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ আল্টাসনোগ্রামের মাধ্যমে সহজে শনাক্তের পদ্ধতি হাতে কলমে শেখান তারা। প্রেজেন্টেশনে তারা কেইস স্টাডি বেইস অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। 

এই সেশনে প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) এর চেয়ারপারসন ডা. তাসবিরুল ইসলাম, পিএইচএ এর রেডিওলজি ফ্যাকাল্টি লিড ডা. সাদিয়া সুলতানা, সিসিএম ফ্যাকাল্টি লিড অধ্যাপক আয়েশা শিকদার, কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসাস সেন্টারের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুসরাত গফুর, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. হেনা খাতুন, এভার কেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জাফর ইকবাল পৃথক পৃথক বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন।

স্পিকার হিসেবে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ৫০ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং দেশের ১০০ জনেরও অধিক খ্যাতিমান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। ৯ দিনের সম্মেলনে থাকছে ৩০ টির বেশি কোর্স এবং সায়েন্টিফিক সেশন।

দেশের বৃহৎ কয়েকটি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে হতে যাওয়া লাইভ সেশনগুলো দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছে নবীন চিকিৎসকেরা নানা জটিল বিষয়ে হাতে কলমে শেখার সুযোগ পাবেন।

এমএস

Link copied!