ঢাকা : একবার যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, এবার ডেঙ্গু হলে তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন। এ ছাড়াও শিশু, বৃদ্ধ ও জটিল রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকিও বেশি। তাই তাদের জন্য পৃথক হাসপাতাল করার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
সংকটের সময়ে আইভি ফ্লুয়িড, তথা স্যালাইন ও ওষুধ উধাও হওয়া রোধ করা এবং গ্রামীণ পর্যায়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা নিশ্চিত করে দাম কমানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ডেঙ্গু সর্তকতা নিয়ে এনটিভির ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্ব দেখুন ভিডিওতে।
ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ জ্বর, তবে লক্ষণ ছাড়াও যে কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে জ্বরের সঙ্গে বমি, পেটে ব্যথা, রক্তক্ষরণ হয়ে থাকলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। কিন্তু ডেঙ্গুর তৃতীয় ও চতুর্থ ধরনে লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার জন্য প্রয়োজন আইসিইউর।
জ্বর হলে প্রথমে ডেঙ্গু টেস্ট করার পরামর্শ চিকিৎসকদের। এ সময় এন্টিবায়োটিক কিংবা এসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন করা যাবে না। তবে গতবারের মতো আইভি ফ্লুয়িড, তথা জরুরি স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ ও উপকরণ বাজার থেকে যাতে উধাও না হয়ে যায়, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার পরামর্শ তাদের।
ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যদি এক ও দুই নম্বর ধরনে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে এই দুটি ধরনের বিপরীতে তার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে তিনি পরবর্তীতে তিন ও চার নম্বর ধরন বা সেরোটাইপে আক্রান্ত হতে পারেন, যা বেশি বিপজ্জনক।
ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে হেমোরেজিক ডেঙ্গুতে আক্রান্তদেরই বেশি ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর ভালো হয়ে যাবার পরে অনেক রোগীর অবস্থা হুট করেই মারাত্মক হয়ে যেতে পারে। তাই ডেঙ্গু রোগীর রক্তপরীক্ষা ও দৃষ্টি রাখা জরুরি।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :