সপ্তাহে ৪ দিন জেলা-উপজেলার হাসপাতালে যাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
সপ্তাহে ৪ দিন জেলা-উপজেলার হাসপাতালে যাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: এখন থেকে সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেছেন, সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার ঢাকায় অবস্থান করবেন। বাকি দিনগুলো ঢাকার বাইরে কাটানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি অবহিত করেছেন।

ঢাকার মহাখালীর আইসিডিডিআরবিতে ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “দুদিন ঢাকায় থাকব আর বাকি কয়দিন সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করব। আমি যদি গ্রামের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি, যদি উপজেলা, জেলার কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে যথাযথ চিকিৎসা হয়, তাহলে ঢাকা শহরে রোগীর ভিড় হবে না।”

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে গ্রামের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ঘটাতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রাইমারি হেলথ কেয়ারকে যদি শক্তিশালী করতে পারি, তাহলে আমাদের সমস্যা থাকবে না। আইসিডিডিআরবি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

“তারা প্রশংসনীয়ভাবে গ্রামগঞ্জে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই টার্গেট নিয়ে আমাদের এগোতে হবে।”

সেমিনারে আইসিডিডিআরবির মাতৃ এবং শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের এমিরেটাস সায়েন্টিস্ট জেনা দেরাখশানি হামাদানি একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

এতে বলা হয়, খেলাধুলাভিত্তিক শিশু লালন-পালন কর্মসূচি শিশুদের জ্ঞান, ভাষা, শারীরিক এবং আচরণগত বিকাশ উন্নত করে। এই কর্মসূচি নরসিংদী, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষীপুর জেলার ২১টি উপজেলার ৬১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

৪৮৫ জন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রাথমিক শৈশব বিকাশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, যারা পরে ১ হাজার ৮২১ জন স্বাস্থ্য কর্মীদের এই সেবা প্রদানের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ থেকে ৩৬ মাস বয়সী শিশুদের ১৪ হাজারের বেশি মা প্রশিক্ষিত হয়েছেন।

হামাদানি বলেন, “বয়স উপযোগী খেলাধুলার মাধ্যমে শিশু বিকাশ ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। আশা করি আমরা দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে কার্যক্রমটি কার্যকরভাবে সম্প্রসারণ করতে পারব এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করতে পারব।”

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআরবির প্রধান নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

এআর

Link copied!