ঢাকা : পারমাণবিক বোমা হামলার কারণে সৃষ্ট শকওয়েভ ও তেজস্ক্রিয়তাসহ নানা ধরনের হুমকি থেকে রক্ষা পেতে ভ্রাম্যমাণ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছে রাশিয়া।
এ আশ্রয়কেন্দ্র পারমাণবিক বোমা হামলা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয় থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য সুরক্ষা দিতে পারবে মানুষকে, জানিয়েছে রুশ জরুরি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ইনস্টিটিউট। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রটির নাম দেয়া হয়েছে কেইউবি–এম।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আশ্রয়কেন্দ্র বিস্ফোরণ ও প্রচলিত অস্ত্রের আঘাত, ভবনের ধ্বংসাবশেষে চাপা পরা, বিপজ্জনক রাসায়নিক এবং আগুন থেকে সুরক্ষা দেবে মানুষকে।
এসব আশ্রয়কেন্দ্র দেখতে জাহাজে পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত মজবুত কনটেইনারের মতো। এর দুটি মডিউল রয়েছে। একটি কক্ষে ৫৪ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। অন্যটি কারিগরি ব্লক হিসেবে ব্যবহারের জন্য। তবে যদি দরকার হয় এক একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আরও মডিউল যুক্ত করা যাবে।
গবেষণা ইনস্টিটিউটটি বলেছে, ভ্রাম্যমাণ এসব আশ্রয়কেন্দ্র নানাবিধ কাজের উপযোগী করে নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো লোকজনকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে। নাগরিকদের নিরাপত্তায় এটিকে একধাপ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেছে ইনস্টিটিউট।
ইনস্টিটিউট বলেছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সহজেই ট্রাকে পরিবহনের উপযোগী এবং এতে পানি সরবরাহের সংযোগ দেওয়া সম্ভব। রাশিয়ার বিস্তীর্ণ বরাফাচ্ছাদিত এলাকাতেও স্থাপন করা যাবে এসব আশ্রয়কেন্দ্র।
তবে রাশিয়ার দাবি, এসব আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরুর সঙ্গে বর্তমান কোনো সংকটের যোগসূত্র নেই। তবে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা এমন সময়ে এলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তে চটেছে রাশিয়া। ক্রেমলিন জানিয়েছে, যদি সত্যি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানো হয়, তবে এর যথোপযুক্ত জবাব দেবে মস্কো।
অন্যদিকে রুশ হুঁশিয়ারি স্বত্তেও যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রথমবারের মতো গতকাল রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সহস্রতম দিনে এ হামলা চালানো হয়। এমন হামলা চালানো হলে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছে দেশটি। তাই গতকালের এ হামলার পর ইউক্রেন যুদ্ধ আরও সংঘাতের দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :