ঢাকা : কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের ডাকা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে দলটির হাজার হাজার সমর্থক ও নেতা-কর্মীদের জনস্রোত এগিয়ে চলেছে।
এমন পরিস্থিতিতে পিটিআই সমর্থকদের ঠেকাতে রাস্তা-ঘাট বন্ধের পাশাপাশি ইসলামাবাদের জারি করা হয়েছে লকডাউন। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট সেবা ও মোবাইল নেটওয়ার্ক।
রোববার (২৪ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ ও দ্যা ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদের ডি চক এলাকায় আজ সোমবার সমবেত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা। এ জন্য গতকাল রোববার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইসলামাবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দিতে গাড়িবহর নিয়ে ছুটতে দেখা যায় কর্মী-সমর্থকদের।
নির্বাচনে গণরায় চুরি, বেআইনি গ্রেপ্তার ও সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর প্রতিবাদে ১৩ নভেম্বর এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন ইমরান খান। এ বিক্ষোভকে ‘চূড়ান্ত ডাক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
খাইবার-পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরের নেতৃত্বে পেশোয়ার থেকে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হয় গাড়িবহর। সেখানে যোগ দেন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও।
সেখানে তিনি বলেন, ‘খানকে (ইমরান খান) ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আমরা এখানে এসেছি। ইমরান খানকে নিয়েই ফিরব।’
অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষোভ করায় কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পিটিআই নেতাকর্মীরা। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। এসময় কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাকিস্তানের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ করছে পিটিআই সমর্থকরা।
পিটিআইয়ের এ বিক্ষোভকে বেআইনি ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এর আগে ইসলামাবাদে দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। নিষিদ্ধ করা হয় সব ধরনের সভা-সমাবেশ। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়া পিটিআইয়ের এ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। ইসলামাবাদে প্রবেশের সব পথে কড়া পাহারায় দেখা গেছে পুলিশকে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :