ঢাকা: সিরিয়ার মিলিটারি অপারেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি জানিয়েছেন, দেশের সব সশস্ত্র গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়া হবে ও নতুন সিরিয়ান রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারও হাতে অস্ত্র থাকবে না। দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের পর্যালোচনার আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আহমেদ আল-শারা ওরফে নামেও পরিচিত এই বিদ্রোহী নেতা রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে তিনি জানান, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সব সদস্যকে সিরিয়ার সশস্ত্রবাহিনীতেও নেওয়া হবে না। বাধ্যতামূলক সামরিক নিয়োগ হবে না, তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো থেকে নিয়োগ বাধ্যতামূলক হবে।
তিনি আরও বলেন, সিরিয়ায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব বিবেচনাধীন। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হলো ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িগুলোর পুনর্নির্মাণ ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা।
এদিকে, আমদানির সুবিধার্থে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সিদ্ধান্ত জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তের আলোকে আমদানিকারকেরা অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত পণ্য আমদানির জন্য দেশের বাইরে অর্থ পাঠাতে পারবেন। তবে অর্থপাচার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় বিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে সেই আমদানিকারককে আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আল-শারা বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ ও সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সিরিয়ার বর্তমান অবস্থা নতুন কোনো সংঘাত সহ্য করার সামর্থ্য রাখে না। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হলো দেশের পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, এমন কোনো বিরোধে জড়ানো নয় যা আরও ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।
আল-শারা জোর দিয়ে বলেন, কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করাই এখন একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ। তবে তিনি সতর্ক করেন যে, ‘অপরিকল্পিত সামরিক অভিযান’ কারও জন্য লাভজনক হবে না।
এদিকে, সিরিয়ায় রাশিয়ার ভূমিকা নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন। প্রায় এক দশক আগে রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ আসাদের পক্ষে যুদ্ধের ভারসাম্য বদলে দিয়েছিল। সম্প্রতি রাশিয়া ক্ষমতাচ্যুত আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে। এ বিষয়ে শারা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এমনভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত, যা উভয় পক্ষের স্বার্থগুলো রক্ষা করে।
সূত্র: আল-মায়েদিন ইংলিশ
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :