ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ‘শাটডাউন’ এড়াতে গতকাল শুক্রবার কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের বিল পাসের পর এবার সিনেটেও বিলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মার্কিন স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শাটডাউন শুরুর মাত্র ৩৮ মিনিট আগে সরকারী তহবিল অব্যাহত রাখতে ডেমোক্র্যাটিক নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ৮৫-১১ ভোটে অর্থবিলটি পাস হয়। খবর রয়টার্স।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত হাউসে ৩৬৬-৩৪ ভোটে বিলটি পাস হয়। শাটডাউন শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে অর্থ বিলটি পাস হয়।
বিলটি পাসের ফলে মার্কিন সেনা, সীমান্ত পেট্রোল এজেন্ট, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং লাখ লাখ ফেডারেল কর্মীকে ছুটির সময় বিনা বেতনে কাজ করতে হবে না। এছাড়া বিলটি পাস হওয়ায় আগামী মধ্য–মার্চ পর্যন্ত মার্কিন ফেডারেল সংস্থাগুলোর তহবিলের জোগান অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিলটি সিনেটের অনুমোদনের পর বর্তমানে হোয়াইট হাউসে পাঠানো হবে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটিতে সই করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মধ্যরাত অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ১২:০১ মিনিটের আগে সিনেট এ বিলে অনুমোদন না দিলে ফেডারেল সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেত।
এই প্যাকেজটি বর্তমান স্তরে সরকারকে মার্চ ১৪ পর্যন্ত অর্থায়ন করে এবং এতে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রাকৃতিক বিপর্যয় সহায়তা এবং এক বছরের কৃষি বিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বারা গত সপ্তাহে দাবি করা ঋণ সীমানা সম্প্রসারণটি বাদ দেয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থিত এ অর্থবিল প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে ব্যর্থ হয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের জন্য সেদিন পরিষদে আনা এ বিলের বিরুদ্ধে ৩৪ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা বিলটি পাসে ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করেন।
এদিকে সিনেটররা বিলটিতে অনুমোদন না দিলে যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন শুরু হত। এতে করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল নানা কর্মসূচি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হত। সরকারের বিভিন্ন বিভাগে সৃষ্টি হত অচলাবস্থা। ব্যাহত হত বিমানবন্দরের কার্যক্রম। এতে করে আসন্ন ক্রিসমাসের ভ্রমণ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারত।
যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন মানে হল দেশটিতে অত্যাবশ্যক নয়, এমন সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া। ৮ লাখ ৭৫ হাজার পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হওয়া এবং আরও ১৪ লাখ কর্মীকে বিনা বেতনে কাজ করা।
তবে শেষ মূহুর্তে সিনেটের অনুমোদনের ফলে সরকারি অচলাবস্থা এড়ালো মার্কিন সরকার।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :