ঢাকা: জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫১২ জনে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯৮ জন।
এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও প্রায় ৭ লাখ মানুষের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৮৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৩ জনে। বুধবার এ সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ৬১ হাজার ১৫৬ জন।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- করোনা থেকে বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি রোগী। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ১৭৭ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং একইসাথে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত যেন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন মৃত্যুবরণ করলেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
ভারতে মোট আক্রান্ত ৯৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫০ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৬০ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬৭ লাখেরও বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯৫ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৩০ জনে। এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৫৯ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১০৪ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৪০ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭২টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৭ হাজার ৪২টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৯ লাখ ১১ হাজার ৬৬৪টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। নতুন যে ২৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ এবং নারী ছয়জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ২৯৮ জন বা ৭৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৬৩২ জন বা ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৭৭২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৯৬৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমকি ৮৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায় ৪ নভেম্বর।
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ২৬তম অবস্থানে রয়েছে বলে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্যে দেখা গেছে। তথ্য-ইউএনবি
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :