পাকিস্তানেও স্বীকৃত বাংলা ভাষা!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৯:৩২ এএম
পাকিস্তানেও স্বীকৃত বাংলা ভাষা!

ঢাকা: বাংলার বদলে এই দেশে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে তৎপর ছিল তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। তবে সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ মায়ের ভাষা কিছুতেই ত্যাগ করতে রাজি ছিল না। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রাজপথে রক্ত দিয়ে ভাষাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। যে পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষার বিরোধীতা করেছি সেই পাকিস্তানে এখনও স্বীকৃত একটি ভাষা বাংলা।

ওয়ান ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে ২০ লাখের বেশি বাঙালি বসবাস করে। তাদের অনেকের পূর্বপুরুষরা ১৯৭১ সালের আগে থেকে সেখানে বাস করতেন অথবা মুক্তিযুদ্ধের পর সেখানে চলে গিয়েছিলেন। তারা উর্দুতে কথা বললেও প্রধান ভাষা বাংলা। এত বিশাল সংখ্যক মানুষের ভাষা বাংলা হওয়ায় করাচি সিটি কর্পোরেশন বাংলাকে দ্বিতীয় স্বীকৃত ভাষা হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে।

উইকিপিডিয়া বলছে, পাকিস্তানি বাঙালি বলতে পাকিস্তানের ওই সমস্ত নাগরিকদের বুঝায়, যারা জাতিগতভাবে বাঙালি এবং পাকিস্তানের নাগরিক। তারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়েছিল বা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে গিয়েছিল।

অধিকাংশ পাকিস্তানি বাঙালি দুইটি ভাষায় কথা বলতে জানেন। তাদের একটি হলো উর্দু এবং অন্যটি বাংলা। তারা মূলত করাচি শহর এবং এর আশেপাশে বসবাস করেন।

পাকিস্তানি বাঙালি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মুহাম্মাদ ফিরোজের দেয়া তথ্য অনুসারে- পাকিস্তানে প্রায় ২০০টি বাঙালি জনবসতি আছে। এর মধ্যে ১৩২টিই করাচিতে। করাচির বাঙালি বসতি অঞ্চলকে 'মিনি বাংলাদেশ' বলে আখ্যায়িত করা হয়। এসব অঞ্চলে রঙিন বাংলা সাইনবোর্ড, ভাসানী ক্যাপ, লুঙ্গি এবং কোর্তা ইত্যাদি প্রায়ই দেখা যায়। 

করাচির চট্টগ্রাম কলোনীতে একটি বাজার আছে, যা সারা পাকিস্তানে ঢাকার কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। তবে সাম্প্রতিককালে, বাঙালির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। জাতিগত রেষারেষির জন্য পাকিস্তানের বাঙালিরা এখন স্থানত্যাগ করছে।

সোনালীনিউজ/এম

Link copied!