ঢাকা : গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলের বোমা হামলা। রাতের অন্ধকারকে বিদীর্ণ করা বোমার বিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে। মুহূর্তেই ধ্বংস হচ্ছে স্থাপনা। মরছে নিরীহ মানুষ। তার মধ্যে আল কুদস হাসপাতাল অবিলম্বে খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে সেখানে বোমা হামলা আসন্ন এমন আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৮০০৫ জনে।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১৪০০ মানুষ। তিন সপ্তাহে গাজায় যারা মারা গেছেন, তার বেশির ভাগই শিশু। সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বে প্রতি বছর মোট যে পরিমাণ শিশু নিহত হয়, তিন সপ্তাহে গাজায় নিহতের সংখ্যা তার চেয়ে বেশি।
এর মধ্যেই মিশরের সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) শীর্ষ প্রসিকিউটর। তিনি বলেছেন, গাজার জনগণের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে বাধা দেয়া আইসিসির অধীনে একটি অপরাধ।
ওদিকে আল কুদস হাসপাতল খালি করে দেওয়ার যে নির্দেশ ইসরায়েল দিয়েছে, চিকিৎসকরা তা অসম্ভব বলে বর্ণনা করেছেন। তারা বলেছেন, ওই হাসপাতালের সবাই এখন আতঙ্কিত। এর আশপাশে বিস্ফোরণের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক ওই এলাকা থেকে রিপোর্টে বলেছেন, আল কুদস হাসপাতাল এলাকায় বোমা হামলা হচ্ছে। গতকাল রবিবার (২৯ অক্টোবর) হাসপাতালটি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। কিন্তু হাসপাতালের স্টাফরা বলেছেন, সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন শত শত রোগী। এসব রোগীকে স্থানান্তর করা সম্ভব নয়।
একজন ডাক্তার বিবিসিকে রবিবার দিবাগত রাতে জানিয়েছেন, আল কুদস হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ভারি বোমা হামলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, এতে সবাই, বিশেষ করে শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত। হাসপাতালের পিছনেই আবাসিক টাওয়ারগুলোতে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।
এর আগে গাজার এক বাসিন্দা বিবিসিকে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে জানিয়েছেন, দুটি আবাসিক টাওয়ারে বোমা হামলা হয়েছে। তৃতীয় আরেকটি টাওয়ারে হামলা হচ্ছে। আল্লাহ যেন আমাদেরকে রক্ষা করেন।
ওদিকে হাসপাতালটির ভেতরের ফুটেজে দেখা গেছে, এর কক্ষগুলো ধুলোবালিতে পূর্ণ। জানালা উড়ে গেছে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :