গাজা সংকটের জন্য দায়ী পশ্চিমারা, বিশ্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৩, ০৪:১২ পিএম
গাজা সংকটের জন্য দায়ী পশ্চিমারা, বিশ্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন

ঢাকা : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডসহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংকটের পেছনে পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী। বিশ্বব্যাপী একের পর এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সোমবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য, সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানদের বৈঠকে দেওয়া ভাষণে তিনি এই অভিযোগ করেন। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের জন্য পশ্চিমকে দায়ী করেছেন।

পুতিন বলেন, ‘মার্কিন অভিজাত শাসক ও তাদের ‘স্যাটেলাইট’ গাজার ফিলিস্তিনিদের হত্যার পেছনে এবং ইউক্রেন, আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার সংঘাতের পেছনে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমাগত বিশৃঙ্খলার প্রয়োজন। তাই যুক্তরাষ্ট্র সেই সব দেশকে অপমান করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যারা গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জোর দেয় এবং একইসঙ্গে রক্তপাত বন্ধ করতে ও সংকট সমাধানে সত্যিকারের অবদান রাখতে প্রস্তুত।’

হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রাশিয়া গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টিকে সমর্থন করে এসেছে। এছাড়া মস্কোতে হামাসের প্রতিনিধিদলকেও স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও মস্কোর এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরাইল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষীদের নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার কথা বলে দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া।

পুতিন বলছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের জন্য দায়ী ছায়াময় মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে রাশিয়া।

তিনি বলেন, ‘এই ট্র্যাজেডির পেছনে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেই কেবল ফিলিস্তিনকে সাহায্য করা যেতে পারে। আমরা রাশিয়া এবং আমরা ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’-এর প্রেক্ষাপটে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই লড়াই নিজেদের জন্য এবং যারা সত্যিকারের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে তাদের জন্য।’

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘সংঘাত সমাধানের মূল চাবিকাঠি হলো একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যদিও এটি ওয়াশিংটনের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য নয়।’

এমটিআই

Link copied!