ঢাকা: গাজায় পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে। কিন্তু এই মাসেও ইসরায়েলি হামলার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না।
পবিত্র এই রমজানের শুরুতেও ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা। গাজাজুড়ে এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। আলোর মুখ দেখেনি যুদ্ধবিরতি চুক্তিও।
উত্তর গাজায় অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৪৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজার ৬৫৪ জন।
রমজান মাসকে সামনে রেখে এক বার্তায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজার ওপর এই জঘন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েল ও এর মিত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পবিত্র রমজানেও হামলা বন্ধের ব্যাপারে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছ থেকে তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
এছাড়া রমজানেও আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ায় সোমবার (১১ মার্চ) থেকে ফিলিস্তিনিরা রোজা পালন করছেন। কিন্তু রোববার সন্ধ্যায় তারাবি নামাজের জন্য হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের বাঁধা দেওয়া হয়। ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে মুসল্লিরা তারাবি নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই রোজার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। কিন্তু পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের নামাজ আদায়ের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি পুরুষ এবং ফিলিস্তিনি তরুণীদের আল-আকসায় প্রবেশে বাঁধা দিয়েছে। সেখানে ৪০ বছরের বেশি বয়সী লোকজনকেই শুধু নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তুলকারেম, বালাতা ক্যাম্প, নাবলুসের পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালানো হয়েছে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :