ঢাকা: দুধ খাওয়াতে আট মাসের ছোট শিশুকে নিয়ে বারান্দায় গিয়েছিলেন এক মা। সেটাই ছিল তার সবচেয়ে বড় ভুল। ছটফট করায় একপর্যায়ে মায়ের কোল থেকে ফসকে নিচে পড়ে যায় শিশুটি! তবে ভাগ্যক্রমে মাটিতে আছড়ে না পড়ে দোতলার কার্নিশের ওপর গিয়ে পড়ে সে।
উল্টোদিক থেকে প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়েই ছুটে আসেন। নিজেরাই বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে উদ্ধার করেন ওই শিশুটিকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শিশুটিকে উদ্ধারের সেই ভিডিও। তিন মিনিটের ওই ভিডিওতে শিশুটিতে উদ্ধারে প্রতিবেশীদের কার্যত দুঃসাহসিক অভিযানই চালাতে দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি রোববার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, রোববার এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে। শহরের আভাদি এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের দোতলার কার্নিশেই ঝুলতে দেখা যায় এক শিশুকে। উল্টোদিকের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা শিশুটিকে দেখতে পেয়েই চিৎকার শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে বাকিরাও বেরিয়ে আসেন। নিজেরাই উদ্ধার করার চেষ্টা করেন শিশুটিকে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রতিবেশীদের মধ্যে এক ব্যক্তি দোতলার জানালা দিয়ে বেরিয়ে সরু জায়গায় দাঁড়ান। আরও দুইজন ব্য়ক্তি তাকে ধরে থাকেন নিরাপত্তার জন্য। এরপর ওই ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে শিশুটিকে ওপরের কার্নিশ থেকে উদ্ধার করেন।
শিশুটি যেহেতু অত্যন্ত ছোট এবং হামাগুড়ি দিচ্ছিল, একপর্যায়ে তার পা কার্যত শূন্যে ভাসছিল। শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য বাকি প্রতিবেশীরা একতলায় টানটান করে চাদর ধরে দাঁড়িয়েও ছিলেন। নিচে পাতা হয় গদিও, যাতে শিশুটি পড়ে গেলে কোনো আঘাত না পায়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই বিল্ডিংয়েরই ৪ তলায় থাকে শিশুটি ও তার পরিবার। শিশুটির বয়স ৮ মাস। রোববার দুপুরে খাওয়ানোর সময় শিশুটি খুব কান্নাকাটি করায়, তাকে নিয়ে বারান্দায় এসেছিল তার মা। খাওয়ানোর সময়ই কোনো কারণে মায়ের হাত ফসকে শিশুটি নিচে পড়ে যায় এবং দোতলার কার্নিশে আটকে যায়।
আভাদির পুলিশ কমিশনার শঙ্কর এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে ভিজিএন স্টাফোর্ড নামক আভাদির আবাসিক কমিউনিটিতে। শিশুটি যখন পড়ে যায় তখন তার মা রম্যা তাকে বারান্দায় দুধ খাওয়াচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, মা যখন তাকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন তখন সে পড়ে যায়। ভিডিও এবং উদ্ধারের ঘটনাটি সত্যি। আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি। শিশুটি ভালো আছে।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :