ঢাকা : রোববার (২০ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তাদের সফর সঙ্গীরা।
এই মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছে ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এই সব গোষ্ঠীকে সমর্থনের পাশাপাশি অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
হামাস : ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
হামাসের অফিসিয়াল সাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘ইরানী জনগণের সঙ্গে দুঃখ ও বেদনা ভাগ করে নিচ্ছি আমরা এবং ইরানের সঙ্গে আমাদের সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি।‘
হামাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বিশাল এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। বন্ধুপ্রতিম ইরানি জনগণের এমন সব প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো মারাত্মক এ সংকট মোকাবিলা করতে পারে।’
হামাস বিবৃতিতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত বাকিদের কথা স্বরণ করে বলেছে, ‘ইরানের রেনেসাঁর দীর্ঘ যাত্রায় সেরা ইরানী নেতাদের একটি দল ছিল এটি।
হুতি : ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু নিশ্চিতের কয়েক ঘণ্টা পর শোকবার্তা পাঠান ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আল-হুথি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, "ইরানী জনগণ এবং ইরানের নেতৃত্বের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। ইরানের জনগণ তাদের প্রতি অনুগত নেতাদের আগমন অব্যাহত পাবে।
এছাড়া ইয়েমেনে হুতি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রেসিডেন্ট মাহদি আল-মাশাত রাইসির মৃত্যুর পর ইরানকে শোক ও সমবেদনা বার্তা পাঠিয়েছেন।
হিজবুল্লাহ : এদিকে লেবানন-ভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে "বড় ভাই" হিসেবে তুলনা করেছে।
এক বিবৃতিতে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে ইরানি কর্মকর্তা এবং ইরানি জনগণের ক্ষতির জন্য গভীর শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা শহীদ প্রেসিডেন্টকে দীর্ঘকাল ধরে ঘনিষ্ঠভাবে চিনি। তিনি আমাদের কাছে একজন বড় ভাই, একজন দৃঢ় সমর্থক এবং আমাদের ইস্যু এবং জাতির ইস্যু। বিশেষ করে জেরুজালেম এবং প্যালেস্টাইন এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের একজন রক্ষক ছিলেন তিনি।‘
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইসরায়েলের শত্রু হামাস, হিজবুল্লাহসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অর্থ, অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সমর্থন করে আসছে ইরান। যদিও এ বিষয়ে সরাসরি কখনই মুখ খুলেনি দেশটি।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :