কুয়েতের ভবনে আগুন

রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত, চেনা যাচ্ছে না অনেক মৃতদেহ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত, চেনা যাচ্ছে না অনেক মৃতদেহ

ঢাকা : কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহমাদি গভর্নরেটের মানগাফ এলাকায় বহুতল আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে ৪০ জনই ভারতীয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫০ জন।

আগুনে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুড়ে গেছে। তাদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। আর এই বিষয়ে কুতে যাচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের অনেকের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে আগুনে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ কেরালা ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

এনডিটিভি বলছে, ছয় তলা ভবনটির একটি রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বাসিন্দারা ঘুমন্ত অবস্থায় ধোঁয়ায় শ্বাস নেওয়ার কারণে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে বলছেন তারা।

এ দুর্ঘটনার পর কুয়েতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। এ সময় বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘গত সন্ধ্যায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটি বৈঠক করেছি। আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর আরও তথ্য জানতে পারবো। পরিস্থিতি এমন যে ক্ষতিগ্রস্তরা বেশিরভাগই পুড়ে গেছে, নিহতদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা চলছে।

তিনি আরও জানান, মৃতদেহ শনাক্ত করার সাথে সাথে স্বজনদের জানানো হবে এবং মরদেহগুলো ফেরত আনা হবে। এছাড়া মরদেহ নিয়ে আসার জন্য বিমান বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “গত রাতে আমাদের সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান ছিল, তাতে হতাহতের সংখ্যা প্রায় ৪৮-৪৯। এর মধ্যে ৪২ বা ৪৩ জন ভারতীয় বলে মনে করা হচ্ছে।"

এদিকে কুয়েতের ভবনে অগ্নিকান্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রূপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

এছাড়া আহতদের কুয়েতের পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির মন্ত্রণালয়।  

কুয়েতের সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নির্মাণ সংস্থা এনবিটিসি গ্রুপ ১৯৫ জনেরও বেশি শ্রমিককে থাকার জন্য বহুতল ভবনটি ভাড়া দিয়েছিল। সেখানে যারা ছিলেন তাদের বেশিরভাগই কেরালা, তামিলনাড়ু ও উত্তর ভারতীয়।

নিহতদের মধ্যে অন্যরা পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মিশর ও নেপালের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

এমটিআই

Link copied!