ঢাকা: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এরপর হামাসের নতুন নেতা কে হবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা। জানা গেছে, গাজার বাইর থেকে নতুন নেতার নাম ঘোষণা করতে পারে হামাস।
তাছাড়া বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন।
তবে সিনওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হাইয়াকে সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার তিনি বলেন, ইসরায়েলি সৈন্যদের গাজা থেকে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না ও জিম্মিদেরও ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।
হামাসের প্রভাবশালী নেতাদের একজন খালেদ মেশাল। তিনি সংগঠনের রাজনৈতিক শাখার সাবেক প্রধান। সিনওয়ার হত্যাকাণ্ডের পর হামাসের হাল তিনিও ধরতে পারেন।
হামাস মূলত নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু ইরানকেই গুরুত্ব দেয় না, কাতারের স্বার্থও দেখে। হামাসের শীর্ষ নেতারা উপসাগরীয় দেশ কাতারে অবস্থান করছেন।
এর আগে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ইরানে হত্যা করা হয়। জুলাইতে চালানো ওই হামলায় যে ইসরায়েল দায়ী তা অনেকটাই নিশ্চিত।
হানিয়ার মৃত্যুর পর সিনওয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সামরিক ও রাজনৈতিক নেতার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এদিকে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার হত্যা নিয়ে ইরান জানিয়েছে এতে প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর চেতনা আরও শক্তিশালী হবে। লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধকে নতুন ও গতিশীল ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে।
সূত্র: রয়টার্স
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :