তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৬, তিন হাজারেরও বেশি ভবন বিধ্বস্ত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৬, তিন হাজারেরও বেশি ভবন বিধ্বস্ত

ঢাকা: মঙ্গলবার সকালেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল সীমান্তবর্তী পশ্চিম চীনের পার্বত্য অঞ্চল তিব্বত। সাত মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তিব্বতের পবিত্র শহর শিগাৎসে।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬ জনে, আহত হয়েছেন ১৮৮ জন। এছাড়া এখনও অনেকে নিখোঁজ। খবর বিবিসি।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির তিন হাজারেরও বেশি ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের অনুসন্ধান করছে উদ্ধারকারীরা। তবে তাপমাত্রা মাইনাসের নীচে থাকায় উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে।

এছাড়া তিব্বতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে হিমশীতল তাপমাত্রা। মঙ্গলবার রাতভর তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইট (মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত নেমে যায়। এতে আশ্রয়হীন মানুষদের দুর্দশা আরও তীব্র হয়।

চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্রের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ২৭টি গ্রাম আছে এবং এসব গ্রামে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ মানুষ বসবাস করে।

প্রাথমিক জরিপ অনুসারে, এসব গ্রামের ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে শিগাতসে শহরের প্রশাসন। তারা আরও জানিয়েছে, ৪০৭ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক কেন্দ্র জানিয়েছে, মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের পর বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫০০টির বেশি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪.৪ মাত্রার পরাঘাত রেকর্ড করা হয়।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুসারে, ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরতায় কেন্দ্রীভূত ছিল। তবে চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে যে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮।

তিব্বতের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও চীন। বিশেষ করে নেপালের কয়েকশ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত, এমনকি রাজধানী কাঠমান্ডুতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এসব দেশে কোন হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।  

এমটিআই

Link copied!