ঢাকা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আজ মঙ্গলবার ফোনালাপ হতে যাচ্ছে। আলোচনার মূল বিষয় ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি।
সম্প্রতি সৌদি আরবে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের বৈঠক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মস্কো সফরের পর এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুতিন ইতোমধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো যায় কিনা। হয়তো পারব, হয়তো পারব না। তবে আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি মঙ্গলবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলব। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে।’
ইউক্রেন ইতিমধ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, যা পুতিনের সমর্থন পেতে ট্রাম্প চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে। রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে রুশ সেনারা।
ট্রাম্প জানান, আলোচনায় ইউক্রেনের ভূখণ্ড ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়া ইতিমধ্যে কিছু সম্পদ ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করেছে।’
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, ‘এই সপ্তাহে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হতে যাচ্ছে। আমরা ইউক্রেনের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে।’ তবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের ভূখণ্ডের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট জবাব দেননি উইটকফ।
রাশিয়া ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট করে দিয়েছে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ করা যাবে না এবং শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। রুশ ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো বলেন, ন্যাটোর কোনো সেনা ইউক্রেনে থাকতে পারবে না।
এই ফোনালাপ কি ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান আনবে, নাকি কূটনৈতিক আলোচনার নতুন অধ্যায় শুরু করবে? বিশ্ব এখন সেই উত্তর খুঁজছে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :